ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
ফটিকছড়ি উপজেলার ভ‚জপুরে চলছে শোকের মাতম। সৌদি আরবে কফিলের নির্যাতনে নিহত ফটিকছড়ির পূর্ব ভূজপুর তালুকদার পাড়ার বাসিন্দা ফুল মিঞার ছেলে রুবেলের লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তার বড় ভাই বাবুল (২৯) এবং বাবুলের ফুফাত ভাই কাজিহাট বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওসমান গণী (৪২)। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বশির নামের আরো একজন।
গতকাল শনিবার বিকাল ৪টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভ‚জপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান চৌধুরী শিপন। তিনি বলেন, এক ভাই নির্যাতনে মারা গেল, সে ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে অন্য ২ ভাইয়ের প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।
জানা যায়, এক বছর আগে সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় কফিলের নির্যাতনে নিহত হন রুবেল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দেশে আনার জন্য ঢাকায় যান তার ভাই বাবুল, আত্মীয় ওসমান গণী এবং বশির।
লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা নামক স্থানে একটি প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল এবং লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাবুল ও ওসমান গণী। গুরুতর আহত হন বশির।
এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত এবং প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল আরোহীদেরও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
নিহত বাবুলের মামাতো ভাই মাসুদ জানান, এক বছর আগে সৌদিআরবে নিহত রুবেলের লাশ আনতে তারা ঢাকায় গিয়েছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাড়ি ফেরার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভূজপুরসহ আশপাশের এলাকায় শোকের মাতম নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, নিহত বাবুল ও ওসমান গণীর মরদেহ বর্তমানে কুমিল্লা হাসপাতালে রয়েছে। আহত বশিরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।