প্রফেসর আসহাব উদ্দীন আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

1

কথাসাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য প্রফেসর আসহাব উদ্দীন আহমদের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে আজ বাঁশখালী কলেজ ক্যাম্পাসে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কলেজ মিলনায়তনে সকাল ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া বাঁশখালী পৌরসভাস্থ রবীন্দ্র-নজরুল পাঠাগারের উদ্যোগে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে ৩০ মে শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তাঁর লেখা ‘বাদলের ধারা ঝরে ঝর ঝর’, ‘ধার’, ‘সের এক আনা মাত্র’, ‘বন্দে ভোটারাম’, ‘বাঁশ সমাচার’, ‘ইন্দিরা গান্ধীর বিচার চাই’, ‘দ্বিপদ বনাম চতুষপদ’, ‘ঘুষ’, ‘দাম শাসন দেশ শাসন’, সেরা রম্য রচনা, ‘আসহাব উদ্দীন আহমদ রচনাসমগ্র’ প্রভৃতি। তিনি সাহিত্যে ২০০৫ সালে মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন।
পঞ্চাশের দশকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে শিক্ষকতা করার সময় তিনি গড়ে তুলেন ‘প্রগতি মজলিস’। কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এই সময় পূর্ব বাংলা বেসরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি গঠন, ‘দি টিচার’ পত্রিকা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হত। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি ও অধ্যাপক আবুল খায়ের কুমিল্লা অঞ্চলের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি বাঁশখালী থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হন। ১৯৫৭ সালে সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধিতা ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রশ্নে আওয়ামী লীগে বিভক্তি এলে তিনি মজলুম জননেতা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থেকে গণ সংগঠন ন্যাপ, কৃষক সমিতি প্রভৃতি সাংগঠনিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি আজীবন সাম্যবাদী ধারার রাজনীতি ও লেখালেখি করে গেছেন। বিজ্ঞপ্তি