প্রধান উপদেষ্টার সফর ঘিরে আলোচনায় চট্টগ্রাম বন্দর

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে আসছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফর ঘিরে নতুন করে আলোচনায় দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর। এছাড়া চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশাও অনেক।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর প্রথমেই চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করবেন। পৌনে ১০টা পর্যন্ত বন্দরে অবস্থান করবেন। এসময় তিনি বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় এবং বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা, কর্মক্ষমতা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং চলমান প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনা প্রদান করবে। এতে বন্দর ব্যবহাকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
বন্দরের কর্মকর্তারা বলছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, বে-টার্মিনাল এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালসহ (এনসিটি) অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও সরকারের নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিরাও চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে গেছেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার বন্দর পরিদর্শনকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আগামী দিনের বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এবং বে-টার্মিনালের কাজ দ্রুত শুরু করার পাশাপাশি অতীতের মতো কারও স্বার্থে যেন চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার না হয় সেটি নিশ্চিত করার দাবি ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর প্রথমেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করবেন। পৌনে ১০টা পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবেন। এসময় তিনি বন্দরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় এবং বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন।
উল্লেখ্য, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। বাংলাদেশের সমস্ত সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করা পণ্যবাহী কন্টেইনারগুলোর প্রায় ৯৮ শতাংশ এ সমুদ্রবন্দর দিয়ে পরিবহন করা হয়। এজন্য দেশের অর্থনীতিতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অত্যাধিক।