বাঁশখালী থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান সিআইপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে চাই। আমি ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ করতে চাই। দলের সকল নেতাকর্মী সাথে থাকলে সংগঠন ও উন্নয়ন এক সাথেই এগিয়ে নিব। বাংলাদেশ সৃষ্টির সাথে আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর পরিবার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে আমি সুচারুরূপে কাজ করবো। এছাড়া স্মার্ট বাঁশখালী গড়তেও কাজ করে যাবো।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকালে বাঁশখালী বালিকা বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বিশাল শোভাযাত্রা উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুরের সভাপতিত্বে ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আবু সৈয়দ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার (অর্থ) আবদুর রাজ্জাক,পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী, ডা. ফররুখ আহমদ ফারুক, ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ নেতা আতাউল করিম আতিক, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাদাত ফারুক, শীলকূপ ইউপি চেয়ারম্যান কায়েস সরোওয়ার সুমন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী ইউনুস, কাথরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে আমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিদের মধ্যে মাস্টার শামসুল আলম সিদ্দিকী, আমান উল্লাহ চৌধুরী, ভূপাল বড়ুয়া, আবুল হোসেন ভুট্টু, আকবর হোসেন তালুকদার, আলমগীর কবির, সার্জেন্ট (অব.) জাফরুল ইসলাম, সেলিম আকতার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে বেদার উদ্দিন তালুকদার, নুর হোছেন তালুকদার, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আকতার, সেলিম উল্লাহ, জামাল উদ্দিন, আবেদুল ইসলাম লিটন, মো. আলমগীর, মুজিবুর রহমান, তপন দাশগুপ্ত, নীলকন্ঠ দাশ, ইউসুফ চৌধুরী, কাথরিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, জসীম উদ্দিন খোকন, হামিদ উল্লাহ, মাহমুদুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর আরিফ মঈনুদ্দিন, এ্যাডভোকেট আলমগীর কবির, আব্দুল অদুদ লেদু, নাছির উদ্দিন, আনসুর আলী, মোহাম্মদ ফারুক, মো. সিরাজ, প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন, দিলীপ চক্রবর্তী, নার্গিস আক্তার, রায়হানুল হক, আব্দুল ওয়াজেদ, মোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম, মেম্বার আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
এমপি মুজিব আরও বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি আমিও যদি দুর্নীতি করি, ভুল করি, আমার বিরুদ্ধেও আপনাদেরকে কথা বলতে হবে। এক সময় বাঁশখালীতে দুর্নীতি, অনিয়মের উৎসব ছিল। আমি এমপি নির্বাচিত হয়ে দুর্নীতির উৎসবের লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমি র্দ্নুীতির বিরুদ্ধে কথা বলে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে এবং কাজ করতে গিয়ে আমাকে যদি রক্তও দিতে হয়, আমি পিছ পা হব না।
তিনি বলেন, অনেকে মাইক পেয়ে আজেবাজে কথা বলেন, তাদেরকে হুঁশিয়ার করে বলছি, অনিয়ম দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ করে বাঁশখালীকে শান্তির আবাসস্থল হিসাবে গড়তে সবার সহযোগিতা চাই। বিজ্ঞপ্তি