নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সকলে মিলে জেলার সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করবো। সরকারি প্রত্যেক দপ্তরকে সংস্কারের মধ্যদিয়ে মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে আমাদের কার্যক্রমগুলো সুনিশ্চিত করবো। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। যতদিন পর্যন্ত চট্টগ্রামে থাকবো, একটি পরিবার হিসেবে কাজ করতে চাই। সকলের সহযোগিতা নিয়ে সুন্দর চট্টগ্রাম গড়ে তুলবো।
গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিসি বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে যাদেরকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাদেরকে পরিষদের কার্যক্রমগুলো সুচারুভাবে করতে হবে। জণগণের কাঙ্খিত সেবানিশ্চিত করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে ক্রীড়া সংস্থা ও বন্যা পুর্নবাসন কমিটি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালিকা জমা দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতায় সর্বত্র লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গুর হটস্পট ভাগ করে রেড ও ইয়েলো জোন চিহ্নিত করে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮১ জন, মৃত্যুবরণ করেছে সাত জন। আগের মাসে (আগস্ট) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০২ জন। মৃত্যুবরণ করেছে দুই জন।তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
সভায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ নতুনভাবে কাজ শুরু করেছে। সকলের সহযোগিতা পেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদি-উর রহিম জাদিদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, অতিরিক্ত জেলাম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম গোলাম মোরশেদ খান, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ তাজবিল্লাহ, পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাছান, কর্ণফুলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত, বাঁশখালীর নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, রাউজানের নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলী, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন, পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. ফখরুল আলম, উত্তর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার, দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন, উপকুলীয় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।