প্রতিটি লাউ কেনা ৪০ টাকা, ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

একেকটি লাউয়ের ওজন আড়াই কেজি পর্যন্ত। প্রতিটি লাউ পিস হিসাবে গড়ে কেনা হয়েছে ৪০ টাকা দরে। আর এসব লাউ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা দরে। এমন দামে লাউ বিক্রির প্রমাণ মিলেছে নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে বাজারটির চারটি দোকানকে বিভিন্ন অভিযোগে ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকালে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর। অভিযানে বিভিন্ন পণ্যের দামের হেরফের পাওয়া যায়। তাছাড়া ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার ও মূল্য তালিকা না টাঙাগানোর মতো অপরাধ দেখতে পায় সংস্থাটি। এসব অপরাধে ৪টি দোকানকে জরিমানা করা হয়।
ডিম, মুরগি, সবজি, ওষুধ, পেঁয়াজ, রসুন আদাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে বহদ্দারহাটের কাউসারের সবজির দোকানে অস্বাভাবিক লাভে লাউ বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করেই সবজি বিক্রি করছিল কাউসার। তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযানে খাজা স্টোর নামে ডিমের পাইকারি বিক্রেতাকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, বেচাকেনার ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং অতিরিক্ত মূল্যে ডিম বিক্রি করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া শাকিল এবং মোর্শেদের সবজির দোকানেও মূল্য তালিকা দেখা যায়নি। উভয় দোকানের প্রতিটিকে ছয় হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান এবং নগর পুলিশের একটি টিম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, কাউসারের সবজির আড়তের মালিক প্রতি পিস লাউ গড়ে ৪০ টাকা দরে কিনেছেন। প্রতি পিসের ওজন এক থেকে আড়াই কেজি। কিন্তু এসব লাউ তিনি পিস হিসেবে নাকি কেজি দরে বিক্রয় করছেন তার কোন বিক্রয় ভাউচার রাখেননি। তিনি মূল্য তালিকাও প্রদর্শন করেন না এবং সেই সাথে তার ক্রয় ভাউচারও ছিল না। ওই আড়ত থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে খুচরা বিক্রেতা প্রতি কেজি লাউ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন। এ সময় কাউসারের সবজি আড়তকে ১৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, একই বাজারের শাকিল এবং মোর্শেদের সবজির দোকানেও কোন ধরনের মূল্য তালিকা প্রদর্শন ছাড়াই বিক্রয়ের অপরাধে উভয় দোকানকে ছয় হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৭ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।