দেশের পোশাক খাতে চলমান অস্থিরতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন দেখছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি অভিযোগ করেছেন, অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করে ক্রয়াদেশ অন্য দেশে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রকারীরা চেষ্টা করছে।
গতকাল শনিবার ঢাকার চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন-এফডিসিতে শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা করা হয়েছে। যাতে আমাদের বৈদেশিক রপ্তানি সংকুচিত হয়। ভুল তথ্য ছড়িয়ে একটি মহল শিল্প এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে। সম্প্রতি মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন বিভিন্ন পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ হয়; যা ঘিরে সংঘর্ষও হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় বন্ধ রাখতে হয় অনেক কারখানা, প্রভাব পড়ে উৎপাদনে।
এ খাতে অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যেতে পারে। সে কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা এ দেশের পোশাক শিল্পে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে। তবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগে অসন্তোষ অনেকাংশে দূর হয়েছে, বলেন শ্রম সচিব।
বিগত সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে বলে মন্তব্য করে সফিকুজ্জামান বলেন, এসব সংগঠনে গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। সিলেকশনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্ব›দ্ব তৈরি হয়।
রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল- ইপিজেডে শ্রমিক সংগঠন চালুর বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মালিক পক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
একই দেশে দুই ধরনের শ্রম আইন থাকতে পারে না মন্তব্য করে সফিকুজ্জামান বলেন, গত পনের বছরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়নি। এই তহবিলের টাকা এমন কিছু ব্যাংকে রাখা হয়েছে, যেসব ব্যাংক এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই তহবিলে এক হাজার কোটি টাকা রয়েছে। বর্তমান সরকার এই তহবিল পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।