পেকুয়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব অসহনীয়

1

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুযায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে ব্যবসায়ী সহ সাধারণ লোকজন। পেকুয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকালয় হাট বাজার সহ পাড়া মহল্লায় ব্যাপক ভাবে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত চোখে পড়ার মতো। কুকুরের পাল অতিক্রম করে সকাল বেলায় ফজরের নামাজে যাওয়া মুসল্লী ও ফোরকানিয়ায় যাওয়া শিশুরা বেশি বিপাকে পড়ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ছোট শিশু থেকে বয়স্ক লোকজন ভোর বেলায় পথ কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে বেশি। হাতে করে নাস্তা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অনেক সময় কুকুর ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করছে জনসাধারণ। ব্যবসায়ীরা জানান, কুকুরের এতই বেপরোয়া উপদ্রব আগে চোখে পড়েনি। দোকানে নাস্তা খাবার বানিয়ে পাহারা ছাড়া রাখা যাচ্ছেনা। অনেক গৃহবধু জানিয়েছেন, একটু সুযোগ পেলেই রান্নাঘরে ঢুকে খাবার খেয়ে ফেলছে বেওয়ারিশ কুকুর। পেকুয়া চৌমুহনীর ব্যবসায়ী ফুলকলির স্বত্বাধিকারী ছরওয়ার উদ্দিন বলেন, কাস্টমার দোকানে খাওয়া অবস্থায় হঠাৎ করে কয়েকটা কুকুর ঢুকে পড়লে বিব্রতর অবস্থায় পড়ছে। বিভিন্ন এলাকার লোকজন জানিয়েছে, শিশু ও বয়স্ক লোক প্রতিদিন কোথাও না কোথাও পথ কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছেনা। লোকজন বলেন, গভীর রাতে কুতুবদিয়া ও মাতার বাড়ী থেকে ট্রলারে করে কুকুর পেকুয়ার মগনামা রাজাখালী ও উজানটিয়ায় ফেলে দিয়ে চলে যাচ্ছে। মগনামার ব্যবসায়ী আমিন বলেন, বহুবার কুতুবদিয়া থেকে বোট ভর্তি কুকুর পেকুয়ায় ছেড়ে দিয়েছে। আগে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের সরকারি প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে কোন সরকারি বেসরকারি প্রকল্প না থাকায় উপদ্রব দমাতে নিধনেরও কোন সুযোগ নেই। এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, পরিবেশবাদী সংগঠন হাই কোর্ট থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা আনার পর এ ব্যাপারে অফিসিয়াল কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।