পেকুয়ায় নির্মাণ শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ

1

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জহিরুল ইসলাম (৪০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। এ ঘটনায় নিহত জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মালেকা বেগম গত সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেন। নিহত জহিরুল ইসলাম পেকুয়া ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা গ্রামের মৃত বাছা মিয়ার ছেলে।
নিহত জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মালেকা বেগম আরো বলেন, আমার স্বামী জহিরুল ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একই উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের হাজিরঘোনা গ্রামের জসিম মিস্ত্রির অধীনে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কাজ করছিলেন তিনি। গত ১ মাস আগে লোহাগাড়া উপজেলায় একটি প্রাইমারী স্কুল ভবনের কাজ করছিলেন। টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নির্মাণাধীন ভবনের ২য় তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় জহিরকে। এ সময় তার ডান পা ভেঙে যায় এবং কিডনিতে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। গত মাসের ১৫ মে তাকে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জহিরুল ইসলামের চাচাতো ভাই মীর কাসেম জানান, টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে ভবনের ২য় তলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। এরপর ঠিকাদার ও হেডমিস্ত্রি জসিম আমার চাচার কোনো ধরনের খোঁজ রাখেননি। গত শনিবার আমার চাচাতো ভাই হাসপাতালে মারা যায়। ওই ঠিকাদার আমার চাচাতো ভাইকে পোস্ট মর্টেম না করার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে তদ্বির করে। এরপরও পোস্ট মর্টেম করার পর গত সোমবার তার লাশ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে মরহুমের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে রাত ৯ টার দিকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
জহিরুলের স্ত্রী মালেকা বেগম জানান, আমার স্বামীর চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। ঠিকাদারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। এমনকি তারা আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর দেখতে আসেনি ও জানাজায় আসেনি। আমার ২ মেয়ে রয়েছে। স্বামীর চিকিৎসা বাবদ যে টাকা খরচ হয়েছে তা ঋণ করা হয়েছে। এ ঋণ মাথায় নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। আমি ঠিকাদার ও প্রধান মিস্ত্রি জসিমের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।
এ বিষয়ে ঠিকাদারকে একাধিক বার ফোন করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।