সোহেল আজিম, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়ায় মগনামা সোনালী বাজার এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনাধীন স্লুইস গেটের একাংশ ভেঙে বিধ্বস্ত হয়েছে। ফলে প্রায় দুই হাজার একর লবণ মাঠ জোয়ার-ভাটার পানিতে ডুবছে আর ভাসছে। এতে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের আওতাধীন ৬৪/২বি পোল্ডারের ৪১ নং স্লুইসগেটের উপরিভাগের বাইরের অংশটি ভেঙে পড়ে আছে। জলকপাট না থাকায় জোয়ারে ডুবছে আবার ভাটায় ভেসে উঠছে লবণের মাঠ। এছাড়া সড়ক ভেঙে বড় ধরনের গর্ত তৈরি হয়েছে। চরম ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন। অ্যামবুলেন্স, লবণবাহী ট্রাকসহ বড় ধরনের সব গাড়ি চলাচল বন্ধ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচলে চরম ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী বলেন, দেড় যুগ ধরে এ স্লুইসগেট সংস্কার করা হয়নি। ফলে ওই স্লুইসগেটের একাংশ অনেক আগে থেকে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। সোনালী বাজারের পাউবো’র এ স্লুইসগেটটি উপক‚লবর্তী মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নে অনেক গুরুত্ব বহন করে থাকে। বিশেষ করে প্রতি শুষ্ক মৌসুমে লবণ উৎপাদন ও বর্ষার সময় কৃষিজ ও চিংড়ি উৎপাদনে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ স্লুইসগেট দ্বারা খালের পানিতে প্রায় দুই হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়। স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনদুর্ভোগ কমাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে এসেছি। আমরা নিজেরাই কিছু টাকা খরচ করে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। তবে সরকারি অর্থ ছাড়া এ স্লুইসগেটটি স্বাভাবিক করা যাবে না। আমরা দ্রুত এ দুর্ভোগের অবসান চাই।
লবণ ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন বলেন, স্লুইসগেটাটির কারণে আমরা বেকায়দায় পড়েছি। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা আছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।
মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, স্লুইসগেটের একাংশ ভেঙে গেছে। চরম ঝুঁকিতে যান চলাচল করছে। লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে এটি দ্রুত সংস্কার জরুরি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন, কিছুদিন আগে সেখানে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। এখন নদীতে ভরা তিথি চলছে। সে কারণে সমস্যা হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, অতি দ্রুত কাজ বাস্তবায়ন হবে।