পেকুয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় হামলার অভিযোগ

1

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় ‘সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের’ হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চৈরভাঙ্গা এলাকার শাহাবউদ্দিনের ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের সক্রিয় কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
গতকাল শুক্রবার পেকুয়া প্রেস ক্লাবে রাতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘১০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে ১৯৭০ সালে আমার বাবার ক্রয় করা ভোগদখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদ করতে আমার এলাকার মশরফ আলীর ছেলে ইব্রাহীম হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে আমি পেকুয়া থানায় গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে স্থানীয় ইব্রাহীমের নেতৃত্বে বাদশার ছেলে আজিজ, জাকের হোছেনের ছেলে শফিউল আলম, হুমায়ুন ও আশরফ আলীর ছেলে আলী হোছাইনসহ ২০-২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমাদের জমিতে ধান রোপণ করার সময় আবারো ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদের জমিতে ধান রোপন করতে আসা চাষীদেরসহ আমাদের উপর বর্বর হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমাকে কিরিচ দিয়ে কোপ দেয়। প্রতিহত করতে গেলে হাত কেটে যায় যেখানে কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। এসময় আমাদের উদ্ধার করতে গেলে মামাত ভাই আরাফাতুর রহমান, আমার মা কামরুন্নাহারকেও সন্ত্রাসীরা ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করে’।
তিনি জানান, ‘এব্যাপারে পেকুয়া থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করেছি। মারধর করে তা ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি এই চক্রের হাত থেকে পরিত্রাণ চাই, নিরাপত্তা চাই। আমাদের দখলীয় জমিতে তাদের কখনো সত্ত¡ বা দখলে ছিল না। কাগুজে কোনো ভিত্তি না থাকা সত্বেও তারা আমাদের জীবন দূর্বিসহ করে তুলেছে। তাদের সশস্ত্র হামলার ভিডিও প্রমাণ আমাদের আছে। সংঘবদ্ধ এই সন্ত্রাসীরা এরকম আরো অনেকের জমি জবর দখল, আধিপত্য বিস্তার করতে যে কে নো সম্মানী ব্যক্তির ওপর হামলাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করেছে’।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মীর কাশেম, তারেকুর রহমান প্রমুখ।