পেকুয়ায় উজানটিয়া-মগনামা সড়কের কালভার্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ

1

সোহেল আজিম, পেকুয়া

পেকুয়া উপজেলা সদরের সাথে উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের অংশ বিশেষের প্রায় ৫০হাজার জনগণের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম কাটাফাড়ি সড়কের রুকুর খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি দেবে গিয়ে চরম ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় পতিত হয়েছে। মূল সড়ক থেকে তিন ফুট দেবে নিচু হয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচলে প্রতিনিয়ত যান বাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। সরজমিনের গিয়ে জানা যায়, গত তিন ধরে চরম ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী ও পথচারীরা চলাচল করছে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, ২৪ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কালভার্টটি নির্মাণ করেছিল। বিগত ১০ বছর পূর্বে সম্পূর্ণ পানি চলাচল বন্ধ হলে কালভার্টটি নির্মাণ বা সংস্কার নিয়ে এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে টানাটানিতে আর নির্মাণ কাজ হয়নি।
উজানটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম মিন্টু বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় কয়েক দফা ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জরুরিভাবে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে দেয়া হলেও বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছে। উজানটিয়ার ৩৫ হাজার লোকের একমাত্র চলাচলের রাস্তায় অতিপ্রয়োজনীয় কালভার্টটি স্থায়ী ও টেকসই পদ্ধতিতে নির্মাণ না করলে লবণ পরিবহন ও জনচলাচল চরমভাবে বিঘিœত হবে।
মগনামা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়সাল চৌধুরী বলেন, উজানটিয়া মগনামার প্রায় ৫০ হাজার লোকজনের চলাচলের অন্তরায় রুকুর খালের কালভার্টটি পরিকল্পিত পদ্ধতিতে নির্মাণ করা না হলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
উজানটিয়া নিবাসী কক্সবাজার নারী শিশু নির্যাতন আদালতের পিপি এডভোকেট মীর মোশাররফ হোসেন টিটু বলেন, ২৪ বছর ধরে একালভার্টটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ না করে বছরে কয়েকটি ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাজেট লুটপাট করছে স্থানীয় প্রশাসন। অনতিবিলম্বে ঠেকসই প্রকল্পের মাধ্যমে কালভার্টটি নির্মাণ না করলে প্রশাসনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
মগনামা ও উজানটিয়ার চেয়ারম্যান না থাকায় দুই উনিয়নের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা পেকুয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার নুর পেয়ারা বেগমের দৃষ্টিতে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত করা হলেও কোন প্রতি উত্তর পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মইনুল হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।