সোহেল আজিম, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাব মেরিন নৌ-ঘাঁটি সংযোগ সড়কে বৃহত্তর বাণিজ্যিক কেন্দ্র আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজার ও পেকুয়া চৌমুহনী এলাকাজুড়ে ইজিবাইক (ব্যাটারী চালিত টমটম) গাড়ির অবৈধ যত্রতত্র পার্কিংয়ের ফলে পুরো সড়ক জুড়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন পেকুয়াবাসী। এছাড়াও পেকুয়া বাজারের মূল সড়কের ওপর বাহাদুর শাহ্ মার্কেটের সামনে, কৃষি ব্যাংকের সামনে ও শাহ আমানত হোটেলের পশ্চিম পাশে এবং ফাঁশিয়াখালী ব্রিজের মুখে সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ কাউন্টার থাকায় সড়কে যানজট অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে। দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে উপজেলার সাত ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষসহ কুতুবদিয়া উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। দীর্ঘ যানজট নিরসণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের দু’পাশের সীমানা জুড়ে ইজিবাইকের (ব্যাটারী চালিত টমটম) দাপুটে অবস্থান। যত্রতত্র ও এবরোথেবরোভাবে পার্কিংয়ের কারণে প্রতিনিয়ত অসহনীয় যানজটে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারী, রোগী, চাকরিজীবীরা। জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও আটকে যাচ্ছে যানজটের কবলে পড়ে। সাত ইউনিয়নের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীও পোহাচ্ছে অবর্ননীয় দুর্ভোগ। সকাল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত পেকুয়া বাজার ও পেকুয়া চৌমুহনী- এই দু’টি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়ে ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে ঘন্টারও বেশি সময় অতিবাহিত হয়। যানজট নিরসণে আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্থ সড়কে ডিভাইডার দেওয়া হলেও দু’পাশ জুড়ে ইজিবাইকের অবৈধ পার্কিং বন্ধ হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের একজন ব্যবসায়ী জানান, সরকার পরিবর্তনের পরে এখনো যারা রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল করে আছে। একটি সিন্ডিকেট সেখানে চাঁদাবাজি করছে। ফলে অবৈধ দখলদাররা তাদের দ্বারা সুরক্ষিত হয়ে বেপোরোয়া হয়ে উঠছে। তিনি আরো জানান, সরকার পরিবর্তনের পরে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পেকুয়া বাজারের এই অবৈধ পার্কিংয়ের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা বাজার ব্যবসায়ীরা এটার আমুল পরিবর্তন চাই।
আলহাজ¦ কবির আহমদ চৌধুরী বাজারস্থ ফাঁশিয়াখালী ব্রিজের মুখ ও নিউ মার্কেটের সামনে, এসডি সিটি সেন্টার এবং পরিষদ (পানবাজার) রোডের মুখে ইজিবাইকের যানজটে নাকাল সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরাও। প্রখর রোদে যানজটে অতিষ্ট স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের নিয়মিত স্কুল ও কলেজে যাতায়াতে দু’ঘন্টারও বেশি সময় জ্যামে আটকে থাকতে হয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, পেকুয়া বাজারের মূল সড়কের ওপর বাহাদুর শাহ্ মার্কেটের সামনে, কৃষি ব্যাংকের সামনে ও শাহ আমানত হোটেলের পশ্চিম পাশে এবং ফাঁশিয়াখালী ব্রিজের মুখে সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ কাউন্টার থাকায় সড়কে যানজট অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়েছে। প্রশাসন উদ্যোগ না নিলে এর সমাধান হবে না।
এই বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, পেকুয়া বাজার ও পেকুয়া চৌমুহনী যানজটের বিষয়টি দীর্ঘ দিনের। ইতোমধ্যে পেকুয়া বাজার ও পেকুয়া চৌমুহনীর যানজট নিরসনে বাজার ইজারাদার, কয়েকটি প্রকল্প কর্মকর্তা ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারসহ কয়েক দফা মিটিং হয়েছে। সেখানকার যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।