পূজায় শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটালেই ব্যবস্থা

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, প্রতিটি পূজামন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আনসার বাহিনী ও ভলানটিয়ার গ্রুপ রয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে, কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপতৎপরতার কোনো সুযোগ নাই। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
গত ২ অক্টোবর মহালয়ায় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহবান জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। আগামীকাল ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর সপ্তমী, ১১ অক্টোবর অষ্টমী, ১২ অক্টোবর নবমী এবং ১৩ অক্টোবর দশমী শেষে হবে দেবী বিসর্জন। খবর বিডিনিউজের।
ময়নুল বলেন, প্রাক পূজার যে ব্যবস্থা, পূজার আগে আমরা প্রতিটি জায়গায় টহল বাড়িয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ পূজামন্ডপে ইতোমধ্যে আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) থেকে বোধন এবং ষষ্ঠী পূজা থেকে সকল পূজামন্ডপে আনসার-ভিডিপি মোতায়েন হবে। পুলিশের অন্যান্য স্ট্রাইকিং ফোর্সের যে টহল ফোর্স, তারাও মোতায়েন থাকবে।
আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলার জন্য এখন সশস্ত্র বাহিনী প্রতিটি জেলায় মোতায়েন আছে। তারাও কিন্তু পূজার ডিউটি পালন করবে। সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, উপক‚লীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড, নৌ অঞ্চলে নৌ-পুলিশসহ বিশেষায়িত যে পুলিশ বাহিনী রয়েছে, তারাও দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পূজামন্ডপে যদি কেউ শান্তিশৃঙ্খলার বিঘœ ঘটনায়, যদি কেউ অপতৎপরতা চালায়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আইজিপি।
মÐপের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে আইজিপি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ যে পূজামন্ডপগুলো আছে, যেগুলো আমাদের মনে হয় ঝুঁকিপূর্ণ বা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে- সেসব পূজামন্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা আছে।
এর আগে গেল শনিবার ঝুঁকির বিবেচনায় প্রায় ১৫ হাজার পূজামন্ডপকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে ‘বাড়তি নিরাপত্তা’ দেওয়ার কথা বলেছেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
উদ্বেগ থাকলেও আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উৎসব উদযাপনের আশা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, পূজায় সব মিলিয়ে মোতায়েন হবে ২ লাখ ১২ হাজার ১৯২ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য। এর মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে চিহ্নিত ১৫ হাজার ৩২টি মন্ডপে থাকবেন ৫৩ হাজার ১৪৮ জন।