পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো জলদস্যু গ্রেপ্তার

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া রফিক উল্লাহকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইন্যাখালী দুই নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকায় তার সৎ বোনের শ্বশুর বাড়িতে আত্মগোপন করেছিলেন। এর আগে তিনি গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে চমেক হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, রফিক উল্লাহ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মফিজুর রহমান মজু বলি। গত ১৬ মার্চ কোস্ট গার্ডের বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন রফিক। ওইদিন গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে গোলাগুলিতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন রফিক। আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২৩ মার্চ তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন থাকা রফিককে ১৬ এপ্রিল ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র পাওয়ার পরপরই কৌশলে দায়িত্বে থাকা নগর পুলিশের দুই কনস্টেবল মামুন ও আব্দুল কাদিরকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনা জানাজানি হলে নগর পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পালানোর পরদিন জলদস্যু রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি বিশেষ টিম রফিককে গ্রেপ্তারে টানা অভিযান পরিচালনা করে। পালানোর দিন অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি আইনের ২২৪ ধারায় পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার রফিকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে।