নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আহম্মেদ রসুল বদলি হওয়ার এক মাসেও রাজশাহী পুলিশ একাডেমীর কর্মস্থলে যোগদান করেননি। অন্যদিকে রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে আসা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নাজিম উদ্দিন চট্টগ্রাম পুলিশ হাসপাতালে যোগদান করেছেন। গত ১৬ মার্চ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের বদলি আদেশ এক চিকিৎসক মানলেও অন্য চিকিৎসক না মানায় একই পদে দুই চিকিৎসকের উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দুই চিকিৎসকের মধ্যেও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এমনকি একই আদেশের অন্য চিকিৎসকরা পদায়িত কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহম্মেদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘বদলি হয়ে একজন আসলে আরেকজন চলে যাবে। এটা স্বাভাবিক বিষয়। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা থাকলে হয়তো একটু সময় নিতে পারে। ঠিকই চলে যাবে। এগুলো অভ্যন্তরীণ বিষয়’।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের বদলি হওয়া আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহম্মেদ রসুল পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমার চাকরি আছে এক বছর। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা চট্টগ্রামেই থাকে। যে কারণে আমি পরিবার ছেড়ে কোথাও যাই না। হাসপাতাল ও রোগী নিয়ে সময় কাটিয়ে দিই। আমার স্থানে যে এসেছে উনিও আগে এখানে ছিলেন। আমরা একসাথেই ২০০৪ সালে যোগদান করেছিলাম। তিনি পাঁচ বছর সরকারি সুবিধা নিয়ে দেশের বাইরে চাকরি করছেন। আমি সবসময় পেশা নিয়েই ছিলাম। আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত¡াবধায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। উনি আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন। দুইজনই এখানে থাকতে কোনো সমস্যা নেই।’
রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমী থেকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় হাসপাতালে বদলি হয়ে আসা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. নাজিম উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘আমরা একই পদে দুইজন আছি। আইজি স্যার যে আদেশ দিয়েছেন সে হিসেবে ১৯ মার্চ রাজশাহী থেকে রিলিজ নিয়ে ২০মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে যোগদান করেছি। উনার অর্ডার হয়েছে। কিন্তু এখান থেকে যায়নি। কি কারণে যায়নি এগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাই না। উনিই বলতে পারবেন কেন যায়নি। যেটা শুনেছি, উনি হয়তো বদলি কাটানোর জন্য চেষ্টা করছেন’।
