পূর্বদেশ ডেস্ক
পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় না দেখার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক শেষে সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসের ৬ তারিখ থেকে কাজ শুরু করেছি। আমরা মোটামুটি কাজের মাঝামাঝি পর্যায়ে চলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে আলোচনা করে একটা খসড়া তৈরি করেছি। কী ধরনের বিষয়গুলো আমাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে যাবে এরমধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এর মধ্যে স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য কিছু বিষয় আছে। কিছু বিষয় দীর্ঘ সময় লাগবে। কিছু ক্ষেত্রে অর্থের বিষয়টি জড়িত আছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সরকারের আইন ও বিধি-বিধান পাল্টাতে হবে। সেগুলো আমরা সুপারিশ করছি। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
কমিশন প্রধান বলেন, একটি বিষয়ে সবাই প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছেন যে, বাংলাদেশে সরকারি, বেসরকারি ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য সবারই পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হয়। এই ভেরিফিকেশনের যে পদ্ধতি এটা ১৯২৮ সালের। দীর্ঘদিন ধরে এটা চলে আসছে। যে কারণে অনেক চাকরিপ্রার্থী বাদ পড়ে যায়। আরেকটি বিষয় ছিল চাকরিপ্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ রাজনীতি করে কিনা। রাষ্ট্রবিরোধী কেউ আছে কিনা। যেটা ব্রিটিশরা করেছিল। বিগত বছরগুলোতে বিশেষ করে স¤প্রতি এমন অভিযোগ এসেছে, রাজনৈতিক কারণে এবং আত্মীয়-স্বজন রাজনীতি করেন, সরকারি দল করেন না। এমনকি, খালা, খালু, ফুফা সরকারি দলের বিপরীতে রাজনীতি করেন। এমন অনেকের ক্ষেত্রেই এসব যুক্তি দেখিয়ে তাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। পুলিশ সংস্কার কমিশন এসব বিষয় বাদ দিতে চায়। আরেকটা নিয়ম আছে, স্থায়ী ঠিকানায় আমার নামে সম্পত্তি আছে কিনা। এটাও নাকি চাকরির ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হতো। আমরা এটাও চাই না। আমরা বলেছি, প্রথম ডকুমেন্ট হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র। সরকার এটা আইনের মাধ্যমেই একজন নাগরিককে দিয়েছে। এটার ভিত্তিতেই ঠিক করতে হবে।
সফর রাজ হোসেন বলেন, সব বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি। মানুষের হয়রানি যাতে কমে। ভেরিফিকেশন হবে, সবই হবে। তবে রাজনৈতিক পরিচয়গুলোর বিষয়ে বাদ দেওয়া হবে।