নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বারেক বিল্ডিং মোড়ে পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতা আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ডবলমুরিং থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তিনি গ্রেপ্তার হন। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন এবং ৫০ রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের মিডিয়া সেন্টারে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অস্ত্রসহ আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানান সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভ‚ঁইয়া। তিনি বলেন, নগরীর বারেক বিল্ডিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আসামি আরিফ হোসেন ওরফে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতালির তৈরি একটি ক্যালিবার সেভেন পয়েন্ট সিক্স-ফাইভ এমএম পিস্তল এবং ৫০ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আরিফ নগরীর ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, সদরঘাটসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল হোতা। তার বিরুদ্ধে সিএমপির বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, অস্ত্র ও পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, আরিফ হোসেন একজন দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী। এতদিন তিনি পুলিশের নজরে ছিলেন। তিনি একজন পেশাদার অপরাধী এবং অস্ত্র নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে যেসব অস্ত্র ও গুলি পাওয়া গেছে সেসব ব্যবহার করেই তিনি বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাÐে লিপ্ত ছিল বলে আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি রাতে ডবলমুরিং থানার আওতাধীন বারেক বিল্ডিং মোড়ের একটি ফাঁকা প্লটে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। তখন সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ধরে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চক্রের মূল হোতা আরিফ হোসেন ছুরি দিয়ে পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় আরিফসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।