নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতে অক্সিজেন মোড়ের জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনের একটি ভবনে চান্দগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
জানা গেছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) রইস উদ্দিন বলেন, সাজ্জাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাজ্জাদ গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি করা হয়। এ ঘটনায় দুই পুলিশসহ চার জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাজ্জাদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামীসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় সাজ্জাদ অস্ত্রের মুখে চাঁদা আদায় করেন। গত ২৯ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামি ও হাটহাজারী থানার সীমান্তবর্তী অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে গুলি করে মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরেই এ ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় দায়ের হওয়া দুই হত্যা মামলায় সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের আসামি করা হয়। এরপর গত ২১ অক্টোবর নগরীর চান্দগাঁও থানার শমসের পাড়া এলাকায় দিনদুপুরে আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) নামে এক ব্যবসায়ীকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাজ্জাদকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। বিদেশে পলাতক জামায়াত-শিবির ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের সহযোগী হিসেবে এই সাজ্জাদ অপরাধজগতে পা রাখেন। এরপর দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ। বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন, অনন্যা, শীতলঝর্ণা, কালারপুল, বায়েজিদ থানার সীমান্তবর্তী হাটহাজারীর কুয়াইশ, নগরের চান্দগাঁও হাজীরপুল ও পাঁচলাইশ এলাকায় ১৫ থেকে ২০ জনের বাহিনী নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সাজ্জাদ।
