পিতাকে খুনের এক যুগ পর পুত্রকে খুনের চেষ্টা

1

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

কর্ণফুলী উপজেলায় পিতাকে খুনের এক যুগ পর জড়িতরা এবার পুত্রকে খুনের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ইছানগর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ছেলে শেখ সিরাজুল মুনির (১৯) ও মোহাম্মদ ফয়সালের ছেলে শেখ মোহাম্মদ নেওয়াজ (১৫)।
জানা গেছে, আহত দুজন সম্পর্কে চাচা-জেটাতো ভাই। অভিযুক্তরা সবাই আহত শেখ সিরাজুল মুনিরের পিতা
মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি। ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর সকালে একটি আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে ইছানগর এলাকায় রাস্তার উপর প্রকাশ্যে কুপিয়ে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে খুন করা হয়।
গতকাল রবিবারের ঘটনায় আহত সিরাজুল মুনির এবং শেখ নেওয়াজ মাথায় মারাত্মকভাবে জখম নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার ইছানগর গ্রামের মৃত হাছান মাঝির চার পুত্র বিএনপি নেতা নুর উদ্দিন, তার ভাই সালাহ উদ্দিন, সাহাব উদ্দীন এবং আব্বাস উদ্দীন।
স্থানীয়রা জানান, ইছানগর এলাকার মৃত ইমতিয়াজ উদ্দীন আহমদের পুত্র মো. ফয়সালের সঙ্গে একই এলাকার নুর উদ্দিন ও তার ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই নিয়ে গত মঙ্গলবার থানায় একটি বৈঠকে বসে উভয়পক্ষ। বৈঠকে জমি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হলেও সে সিদ্ধান্ত মানেননি মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর খুনে অভিযুক্তরা।
গতকাল রবিবার সকাল ১১ টার দিকে মোহাম্মদ ফয়সাল তার পুত্র ও ভাতিজা জমিতে কাজ করতে গেলে তাদের উপর অভিযুক্তরা পাথর নিক্ষেপ শুরু করে।
ফয়সাল জানান, আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। ২০১২ সালের ৭ অক্টোবরের মত একই স্টাইলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে তাদের সহযোগিতায় ফয়সালের পরিবার আহত সিরাজুল এবং নেওয়াজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি জানান, আমাদের ওপর যারা হামলা করেছে তারা সবাই আমার ভাই মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর খুনের আসামি। কোর্ট থেকে মামলা নামিয়ে ফেলতে তারা আমাদের প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে। আজকের ঘটনা তারই অংশ।
এদিকে প্রতিপক্ষ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মোহাম্মদ নুরউদ্দিন জানান, প্রতিপক্ষ তাদের জমি দখল করতে গেলে তারা বাঁধা দিলে তাদের ওপর ইট-পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে তাদের ৩ জন আহত হন। জমির বিষয়ে থানায় বৈঠক হওয়ার কথা স্বীকার করলেও ওই জমি তাদের বলে দাবি করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এতে প্রতিপক্ষ নুরউদ্দিন গং বিরোধীয় জমিতে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। ভুক্তভোগীরা মামলা দায়ের করলে তা মামলা গ্রহণ হবে।