পিইসিতে পাসের হার ৯৭.৯৮% ইবতেদায়ীতে ৯৫.৮৭%

59

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রামে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। পিইসিতে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ১৮৪ জন শিক্ষার্থী। ইবতেদায়ীতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৯৯ জন।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিইসি ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় চট্টগ্রাম জেলার ফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিরুল কায়ছার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা।
এ বছর পিইসিতে নগরসহ চট্টগ্রামের ২০ শিক্ষা থানার ১ লাখ ৪১ হাজার ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৪ জন। অন্যদিকে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৩ হাজার ৮১৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২২ হাজার ৮৩০ জন।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে সাতকানিয়ে উপজেলা। যেখানে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ উপজেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ৭ হাজার ৫০৮ জন এবং পাস করেছে ৭ হাজার ৫০৪ জন। অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে ডবলমুরিং ও কোতোয়ালি থানা। উভয় থানায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
পিইসিতে নগরীতে ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, বন্দর, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, ও কোতায়ালি থানায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৫ হাজার ৬৩ জন। যার মধ্যে পাস করেছে ৪৪ হাজার ২৪৬ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৫৩৫জন। অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে নগর এলাকায় পাশের হার ৯৮ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮২ জন। এ ৬ থানায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ১৮৬ জন এবং পাস করেছে ৩ হাজার ১৩১ জন।
পিইসিতে নগরীর বাইরের চট্টগ্রাম জেলার বাকি ১৪ উপজেলার পাসের হার ৯৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৬৪৯ জন। যেখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৫ হাজার ৯৬৩ জন এবং পাস করেছে ৯৩ হাজার ৮৮৮ জন। অন্যদিকে একই এলাকায় ইবতেদায়ীর পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১৭জন। যেখানে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ হাজার ৬২৭ জন এবং পাস করেছে ১৯ হাজার ৬৯৯ জন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিরুল কায়ছার বলেন, ছোট ছোট বাচ্চাদের সামনের বড় বড় পরীক্ষার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্যই এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। তারা সামগ্রিকভাবে অনেক ভালো রেজাল্ট করেছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। নগর-গ্রাম আলাদা করে ভাবছি না, কেননা তারাই সবাই এখনো কোমলমতি শিশু। তাদেরকে কোনো তুলনায় না ফেলে অর্জনটাকে সম্মান জানাচ্ছি।