চন্দনাইশ প্রতিনিধি
দুর্ঘম পাহাড়ি এলাকার ধোপাছড়ি ছড়ার উপর ১৬ লক্ষ টাকায় নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ২য় বারের মত ভেঙে পড়েছে। এতে ধোপাছড়ি ছড়ার পূর্ব পাশের বাসিন্দাদের আবারও দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। গতকাল ২২ মে বিকালে হঠাৎ অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল নামে ছড়ায়। পানির ¯্রােতে ছড়ার উপর নির্মিত কাঠের সাঁকোটি ২য় বারের মত ভেঙে পড়ে। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পাহাড়ি ঢলে কাঠের সাঁকোটি ভেঙে পড়েছিল।
হচ্ছে, হবে এমন আশার বাণীতে পূর্ব ধোপাছড়িবাসীর কেটেছে ৫৪ বছর। স্বাধীনতার পর সরকার পরিবর্তন হয়। কালের বিবর্তনে সবখানে উন্নয়নের জোয়ার লাগে। কিন্তু ধোপাছড়িবাসীর প্রাণের দাবি, ধোপাছড়ি ছড়ার উপর নির্মাণ হয়নি কোন ব্রিজ বা সাঁকো। ফলে পূর্ব ধোপাছড়ির মানুষ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার করেছে দীর্ঘ দিন। অবশেষে গত ২০২৩ সালে ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ধোপাছড়ি ছড়ার উপর ১শ মিটার দীর্ঘ ৭ ফুট প্রস্ত কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। একই বছর নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সাঁকোটি উদ্বোধন করা হয়। ফলে পূর্ব ধোপাছড়ির শঙ্খের মুখ, ক্যাম্প পাড়া, শামুক ছড়ির ২ শতাধিক পরিবারের শত শত মানুষ যাতায়াত শুরু করে। এই সাঁকোটি দিয়ে মোটর সাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা, টমটম, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে আসছিল। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর রাতে হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটির ২টি খুঁটি ভেঙে সাঁকোর এক অংশ ভেঙে যায়। ফলে সাঁকো দিয়ে সবকিছুর স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। একই ভাবে গতকাল ২২ মে বিকালে পাহাড়ি ঢলে সাঁকোর একাংশ ভেঙে পড়ায় পূর্ব ধোপাছড়ির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তি হলেও ধোপাছড়িবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কিংবা পরিবর্তন হয়নি। এ ছড়ার উপর সাঁকো নির্মাণ সময়ের দাবি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সাঁকো নির্মাণ না হওয়ায় এ এলাকার শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলা, মুমূর্ষু রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বিনা চিকিৎসায়। পূর্ব ধোপাছড়ির সাথে ধোপাছড়ি বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, দোহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের একমাত্র পথ ধোপাছড়ি ছড়ার উপর বাঁশের সাঁকোটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিজে রূপ দেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।