পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা কোত্থেকে এসে হামলা চালিয়েছে, তা কেউ জানে না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেছেন, এর পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগ কার্যালয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেইভের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের তার সঙ্গে বৈঠকে গেলে তিনি এ কথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
পাহাড়ে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাতে উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের অংশ হয়ে শনিবার খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি সফর করে এসেছেন হাসান আরিফ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান অস্থিরতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিককে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, রাঙামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্প্রীতি নষ্ট করতে বিভিন্ন দিক থেকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ‘প্রতিষ্ঠার’ চেষ্টা করছেন বলেও সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন হাসান আরিফ। বলেন, আমরা ছাত্র-জনতা-শ্রমিকের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছি। বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চায় ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন এবং আরবান হেলথ প্রোগ্রামের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
এ বিষয়ে হাসান আরিফ বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যেমন গ্রামীণ রাস্তাঘাট নির্মাণে নারীরা কাজ করছে, তেমনি পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নারীরা কাজ করছে।
আবার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবও একজন নারী। নাগরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার সহায়তা প্রত্যাশা করছি।