পারমাণবিক শক্তিধর দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধের ফল হবে ভয়াবহ : আলি জাফর

1

ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাত কমানোর জন্য জরুরি সংলাপ ও আন্তজার্তিক মধ্যস্থতার আহবান জানিয়েছেন পাকিস্তানের গায়ক ও অভিনেতা আলি জাফর। বৃহস্পতিবার একাধিক টুইটের মাধ্যমে আলি জাফর দু’দেশকেই সংযম দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে তার ফল হবে ভয়াবহ। আলি জাফর লিখেছেন, ‘আমাদের ঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।’
যারা যুদ্ধ উসকে দিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘আপনারা কি বুঝতে পারছেন, দুটি পারমাণবিক দেশের মধ্যে যুদ্ধ মানে কী? এটা কোনো সিনেমা নয়—যুদ্ধ মানেই ধ্বংস।’ তিনি বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষের জীবন বিপন্ন করে এমন যেকোনো উসকানি নিন্দনীয়। আমরা সবসময় আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর ওপর আস্থা রেখেছি; তবে পাকিস্তানের শান্তির আকাঙ্ক্ষাকে দুর্বলতা ভাবা উচিত নয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখনই কার্যকর হস্তক্ষেপ করতে হবে।’ পাশাপাশি দুই দেশের নেতাদের প্রতি তার আহবান, ‘এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আগেই আলোচনা করুন, শুনুন এবং এই সংকট সমাধান করুন।’ টুইটের শেষদিকে আলি জাফর লেখেন, ‘প্রতিটি জীবন মূল্যবান। প্রতিটি জাতির নিরাপত্তার অধিকার আছে। পাকিস্তান আছে বলেই আমরা আছি।’
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে, যদিও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপর ভারত ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ, সিন্ধু নদী চুক্তি স্থগিত এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে। পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওয়াঘা সীমান্ত নিজেদের দিক থেকেও বন্ধ করে এবং জানায়, পানিপ্রবাহে হস্তক্ষেপ ‘যুদ্ধের শামিল’। ৭ মে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, ভারত বিমান হামলা চালিয়েছে, যার জবাবে তারা বিমান ও স্থলপথে পাল্টা হামলা করে।
প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান (এর মধ্যে চারটি রাফাল) ভূপাতিত করার দাবি করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, চাইলে তারা আরও ১০টি বিমান গুলি করে নামাতে পারত, কিন্তু তারা সংযম দেখিয়েছে। এক ফরাসি গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, একটি রাফাল জেট পাকিস্তান ভূপাতিত করেছে—এটাই প্রথমবার কোনো সংঘর্ষে এই বিমান ধ্বংস হলো। পাকিস্তান আরও জানায়, তারা ভারত ব্যবহৃত ২৫টি ইসরাইলি ‘হারপ’ ড্রোন ধ্বংস করেছে, যেগুলো পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। এসব ড্রোন প্রতিহত করতে তারা সফট ও হার্ড কিল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। পাক সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের এসব ড্রোন হামলা মূলত ‘পাকিস্তানের পাল্টা অভিযানের পর একপ্রকার আতঙ্কগ্রস্ত প্রতিক্রিয়া।’