প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহাথির হাসান ‘দোষ স্বীকার করে’ ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বনানী থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন তার ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেওয়ার তথ্য দেন।
আগের দিন চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার এ মামলার তিন নম্বর আসামি মাহাথির স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মঈন উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে পারভেজ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. আল কামাল শেখ বুধবার আদালতে ‘দোষ স্বীকার করে’ জবানবন্দি দেন। রিমান্ড চলাকালে জবানবন্দি দিতে চাইলে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
চট্টগ্রামের হালিশহর থানাধীন আজাদ টাওয়ার এলাকার একটি বাসা থেকে বুধবার সকালে মাহাথির হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে মামলাটিতে ছজয়ন গ্রেপ্তার হলেন। খবর বিডিনিউজের
এর আগে গত বুধবার গাইবান্ধা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মেহরাজকে ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস এলাকায় মামার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামলার পাঁচ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজী।
এর আগের দিন রবিবার মধ্যরাতে বনানী থানা পুলিশ মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই।
ঢাকার বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত শনিবার টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ ছুরিকাঘাতে খুন হন। পরদিন সকালে তার চাচাত ভাই হুমায়ুন কবীর আটজনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেহরাজ ও তার সঙ্গীরা লাঠিসোঁটা, ছুরি-চাকু ও চাপাতি হাতে পারভেজের ওপর হামলা চালায়।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আলভী হোসান জুনায়েদ, আল আমিন সানি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজী রিমান্ডে রয়েছেন।