পানিতে বেড়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক ‘পিফাস’

2

দেশের পানি ও মাটিকে দূষিত করছে শিল্পবর্জ্য থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত রাসায়নিক পার এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ (পিএফএএস)। এর প্রভাবে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে পিফাস দূষণ ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা এ কথা উঠে আসে। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, পিফাস দূষণে আমরা জর্জরিত, অথচ এটি এখনও যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। নদী ও পানি রক্ষায় পরিকল্পিত ও আন্তঃমন্ত্রণালয় ভিত্তিক উদ্যোগ প্রয়োজন। বক্তারা বলেন,দেশে ৬৭ শতাংশ পানি দূষণের জন্য দায়ী গার্মেন্টস শিল্প, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চামড়া খাত। এসব শিল্পবর্জ্য থেকে নিঃসৃত পার এবং পলিফ্লুরোঅ্যালকাইল পদার্থ (পিএফএএস) নদীর পানিতে মিশে পানিকে বিষাক্ত করছে। ফলে পরিবেশের এই বিপর্যয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসময় বক্তারা পিফাসের দূষণ রোধে নীতিমালা প্রণয়ন, রোডম্যাপ তৈরি ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালুর সুপারিশ করেন। এছাড়াও সভা থেকে পিফাস দূষণ রোধে সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করার আহবান জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সঞ্চালনা করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিউবার্ট বোম, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’র (ধরা) সহ-আহব্বায়ক এমএস সিদ্দিকী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। পিফাস দূষণ সম্পর্কে অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট অ্যাকটিভিস্ট শাহিদ হাসান। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়াটারকিপার অ্যালায়েন্সের অ্যাডভোকেসি পরিচালক জ্যাকি এসপোসিটো, সাইপ্রেস সিস্টেম আইএনসি’র প্রযুক্তি প্রধান ড. জাকি ইউসুফ, ইএসডিও’র প্রোগ্রাম উপদেষ্টা অটল কুমার মজুমদার এবং থ্রিফিফটি ডট অর্গের দক্ষিণ এশিয়া মোবিলাইজেশন সমন্বয়ক আমানুল্লাহ পরাগ। আলোচনায় আরও অংশ নেন পরিবেশবিদ, নদীসংগঠক, সাংবাদিক, সাবেক আমলা ও মানবাধিকার কর্মীরা।