পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ‘বিজয়’ উদযাপনে লাহোরের বাসিন্দারা

1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারত ও পাকিস্তান চার দিন ধরে পাল্টাপাল্টি লড়াইয়ের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরপরই লাহোরের বাসিন্দারা তাদের দেশের সেনাবাহিনীর ‘বিজয় হয়েছে দাবি করে’ উদযাপনে মেতে উঠেছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন নিউজ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শনিবার সকালে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখোমুখি হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি নগরীর সুন্দর শিল্পাঞ্চলে আঘাত হেনে মাটিতে ঢুকে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভারত শাসিত কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এর পেছনে ইসলামাবাদের সমর্থন আছে বলে অভিযোগ করে নয়া দিল্লি। এর জবাব হিসেবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ভারতীয় এই হামলার জবাব দিতে দেরি করে পাকিস্তান, এতে দেশটির জনগণ সন্দেহপ্রবণ হয়ে ‘উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর দাবি জানাতে থাকে। পরে সব সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী, তারা এর নাম দেয় ‘বুনইয়া-নুম-মারছুছ’। ‘বুনইয়া-নুম-মারছুছ’ শব্দবন্ধের অর্থ ‘গলিত সীসা দিয়ে নির্মিত অভেদ্য প্রাচীর’, যা শক্তি, সংহতি ও দৃঢ়তার প্রতীক।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করার পর দেশটির জনগণ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ট্রাকের ছবি শেয়ার করে শ্লোগান দেয়, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী পাইন্দাবাদ (বিজয়ী) । তারা রাস্তায় নেমে মিছিল, সমাবেশ করে সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন জানায়।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) ‘বুনইয়া-নুম-মারছুছ’অভিযানের ‘সফলতা’ উদযাপনের জন্য লাহোরে জনসভা করে সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। লাহোরবাসীরা ভারত ও ইসরায়েলের পতাকা পোড়ায় ও পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করে।