পাঁচ বছরের আশা ২০৭ দিনেই শেষ

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১২৫ প্রার্থী। চলতি বছরের শুরুতে ৭ জানুয়ারি এসব আসনের দুই হাজার ২৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। ভোটের আগে গাড়ি পোড়ানো, ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয়া, ট্রেনে আগুন দেয়ার মতো ঘটনায় নির্বাচনের নিরাপত্তা শঙ্কা থাকলেও ভোটগ্রহণের দিন বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি-জামায়াতবিহীন এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১২ জন, জাতীয় পার্টির একজন, তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। নির্বাচিতদের মধ্যে সাতজন প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান। এরমধ্যে প্রথমবার এমপি হওয়া তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর ভরাডুবি ঘটে। যেন বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উপচে পড়েছিল বিজয়ী প্রার্থীদের। কিন্তু তাঁদের পাঁচ বছরের আশা ২০৭ দিনেই শেষ হয়েছে। ২০১৪ সালে ‘বিনাভোট’ ও ২০১৮ সালে ‘রাতের ভোট’ এর মতো এ নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক ছিল। ২০২৪ সালের এ নির্বাচনকে ‘ডামি ভোট’ হিসেবেই আখ্যায়িত করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। এতে নির্বাচনী আমেজ ভাটা পড়লেও নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে আগ্রহ ছিল বেশি। নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের গেজেট প্রকাশ শেষে ১১জানুয়ারি তড়িঘড়ি করে শপথ গ্রহণ করেন। পরে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে নির্বাচনী এলাকার জনগনের দোঁড়গোড়ায় ছুটে যান। ক্ষমতায় টিকে ছিলেন ২০৭ দিন। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে হওয়া গণঅভ্যুত্থানে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় আওয়ামী লীগের সাম্রাজ্য। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর মধ্যদিয়ে বিগত ১৬ বছর ধরে চলে আসা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দাপট মুহূর্তেই ইতি ঘটে। পরে সংসদ ভেঙ্গে দিলে রাতারাতি ক্ষমতাহীন হয়ে যান নির্বাচিত সাংসদরাও। বছর শুরুর দিকে নির্বাচনে জয়ের যে আনন্দ তা বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মাঝপথে হতাশায় শেষ হয়। নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত চট্টগ্রামের ১৬ সংসদ সদস্যেদের মধ্যে দুইজন জেলে আছেন। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন পাঁচ জন ও বাকিরা প্রকাশ্যে না থাকলেও দেশেই আছেন।