নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর পাঁচলাইশে গৃহবধূ ফারহানা ইয়াছমিন রূপার (২৫) আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী-শাশুড়িসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রবিবার দুপুরে সিএমপির পাঁচলাইশ মডেল থানায় নিহতের পিতা আবদুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল সোমবার পূর্বদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান। আসামিরা হলেন নিহতের স্বামী মারুফ মোহাম্মদ নাজবুল আলম (৩৮), ছাবেরা বেগম (৫৬), বেবি আক্তার (৪৫) ও ফরিদা বেগম (৪৩)। এরা সকলে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিংগা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলাটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে টেকনাফ এলাকার (বর্তমানে সদরঘাট আইস ফ্যাক্টরি এলাকার) আবদুর রশিদের কন্যা ফারহানা ইয়াছমিন রূপার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় একই জেলার চকরিয়া (বর্তমানে পাঁচলাইশ শুলকবহর এলাকার) মৃত ফরিদুল আলমের ছেলে মারুফ মো. নাজবুল আলমের (৩৮) সাথে। বিয়ের পর থেকেই নিহতের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে রুপার উপর নির্যাতন চালাতো। রুপাকে তার বাবার ফ্ল্যাট স্বামীর নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন।
এদিকে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিরা ভিকটিমকে আবারও মানসিকভাবে নির্যাতন করে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে মরে যেতে বলেন। এসব অত্যাচার সইতে না পেরে এদিন বিকেল ৫ টায় শুলকবহর এলাকার নিজ বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।