পাঁচলাইশে দখল বাণিজ্যে আওয়ামী লীগ নেতা

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর পাঁচলাইশ থানার আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসমাইল। একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে ভ‚মি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন তিনি। প্রতিপক্ষের সঙ্গে চুক্তির বিনিময়ে জাল দলিল বানিয়ে মানুষের জায়গা দখল করেন তিনি। দখলের কাজে ব্যবহার করেন নারীদের। এসব কাজ করতে গিয়ে তার নামে রয়েছে একাধিক মামলাও। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার জেল কেটে বের হয়ে আবার পুরনো পেশায় এই আওয়ামী লীগ নেতা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম একাডেমির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভূক্তভোগী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার পাঠানপুর জামে মসজিদের মোতায়ালী মো. ইব্রাহিম। এসময় তার দু’ভাই সরওয়ার আলম, মো. সেলিমসহ স্থানীয় দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী ইব্রাহিম বলেন, চট্টগ্রামের অক্সিজেন পাঠানপুর এলাকায় আমার পরিবারের নিজস্ব দখলীয় সম্পত্তির দুইটি দোকান করতে ভাড়া নেন মো. ইমাম হোসেন ও মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি বিকেল চারটায় শাহনাজ বেগম ইফার নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় দখলবাজদের নেতৃত্বে চাঁদা দাবি করে অবৈধভাবে দুটি দোকান দখল করে তালা লাগিয়ে দেন। জায়গা দখলের মূল ভ‚মিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসমাইল। তিনি শাহনাজ বেগমকে জায়গার জাল দলিল বানিয়ে এই দখলের কাজ ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, শাহনাজ বেগম ইফার কোনো পৈত্রিক কোনো সম্পত্তি নেই ওই জায়গায়। তিনি আওয়ামী লীগ ইসমাইলের জাল দলিল নিয়ে দাবি করে আসছে তার সম্পত্তি রয়েছে। প্রায় একমাস আগে শাহনাজ বেগম, তার মা পারভিন আরা বেগম ও বোন রোকেয়া বেগম ওই জায়গায় নিয়ে পিবিআই তদন্তের তাদের জালিয়াতির বিষয়ে ধরা পড়েন। ওই অভিযোগে তাদের মামলার পর কারাগারে গেছেন তারা। সম্প্রতি শাহনাজ বেগমসহ তিন জেল থেকে বেরিয়ে আবারো আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইলসহ দুটি দোকান দখল করেন নেন। এ ঘটনায় সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে এই মামলাটি তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী ইব্রাহিম।