ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলোর ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ ও মস্কোর বৈধ নিরাপত্তা স্বার্থ উপেক্ষা করার ফলে পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়া। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ দাবি করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। পেসকভ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ উসকে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রই উত্তেজনা সৃষ্টির প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু শক্তিধর দেশ রাশিয়া নিজের পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে। এই নীতিতে নির্ধারিত হয় মস্কো কবে ও কী পরিস্থিতিতে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করবে। পেসকভ বলেছেন, পশ্চিমারা ক্রমাগত ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, যা রাশিয়াকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। পারমাণবিক নীতির এই পরিবর্তন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান উত্তেজনা বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হবে এবং এর ভিত্তিতে প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো প্রণয়ন করা হবে।
বর্তমান পারমাণবিক নীতি ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক আদেশে নির্ধারিত হয়েছিল। বিদ্যমান নীতি অনুযায়ী, শত্রæর পারমাণবিক আক্রমণ বা কোনও প্রচলিত হামলায় রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে পড়লে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। পশ্চিমারা ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মস্কো। এই ধরনের অস্ত্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীর অঞ্চলে হামলা চালানোর ক্ষমতা দেবে।