বান্দরবান প্রতিনিধি
ঢাকায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিভিন্ন মহলের অংশগ্রহণে আয়োজিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এক সেমিনারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) একটি বেসরকারি টিভির ক্যামেরায় তার উপস্থিতির চিত্র ধরা পড়ে। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা নাশকতার মামলার আসামি হয়েও কীভাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সেমিনারে অংশগ্রহণ করে বা কার মাধ্যমে সেখানে গিয়েছে সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখারও তাগিদ দেন অনেকে।
অধ্যাপক শফি উল্লাহ গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় ৪ নম্বর আসামি তিনি। পুলিশ তাকে খুঁজছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা শফি উল্লাহ মামলার আসামি। তিনি অনেকদিন ধরে পলাতক রয়েছেন। তাকে আমরা খুঁজছি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সেমিনারে কীভাবে গেলো জানি না। সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আমরা যদি তথ্য পেতাম তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, একসময়ের আরএসও নেতা শফি উল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা মার্মাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তাকে ব্যবসায়িক পার্টনার বানিয়ে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক করে ভাগিয়ে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ। পরে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ভোট ডাকাতি করে বনে যান উপজেলা চেয়ারম্যানও। এর আগে ২০১৪ সালে শফি উল্লাহ চট্টগ্রামে র্যাবের হাতে আটক হন।