পণ্যের দাম বাড়লে আর কমে না, সেটা চলবে না : উপদেষ্টা

3

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাজারে জিনিসপত্রের দাম একদম হতাশাব্যাঞ্জক নয়। লোকজনের জন্য বাজার যেন আরও সুখকর হয়, এ জন্য কাজ চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গতকাল রোববার বিকালে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দেশের পোলট্রি খাত-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা জানান। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
উপদেষ্টা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম কমানোর জন্য উৎপাদন খরচ ছাড়াও অন্যান্য ফ্যাক্টর থাকে। বাংলাদেশে কোনও জিনিসের দাম বাড়লে সহজে কমতে চায় না, সময় লাগে।
পোলট্রি খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ডিম ও মাংস উৎপাদনকারীদের বিদ্যমান সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উৎপাদক থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে, আমরা বলেছি সেগুলো দেখবো। ট্যাক্স ও ট্যারিফের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎপাদক পর্যায়ে ১৮৫ টাকার সোনালি মুরগি ঢাকায় ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এমন বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কৃষি বিপণন অধিদফতর এখন থেকে নিয়মিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। ভোক্তা অধিকার ও প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার মনিটরিং করবে।
উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন বাড়াবেন। আবার বিপণনেরও কিছু মিস ম্যানেজমেন্ট রয়েছে, সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের দাম ইতোমধ্যে কমেছে উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের বলেছি পরিবহন ব্যয় কমবে, অন্যান্য ব্যয়ও কমবে, সেটা আপনাদের উৎপাদিত পণ্যে রিফ্লেক্ট করেন। বাংলাদেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমে না, সেটা চলবে না, যোগ করেন তিনি।
ডিম ও পোলট্রি খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কী করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানুষ চেষ্টা করবে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে। অনেকেই ইল মাছের মতো পিছলে যেতে চেষ্টা করবে। কিন্তু এখন আর সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করা যাবে না।