পূর্বদেশ ডেস্ক
পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তার কাছে প্রশ্ন ছিল, সরকার কেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, আগে যে সিন্ডিকেট ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করত আওয়ামী লীগ সরকার, কিন্তু সিন্ডিকেটের ভেতরে ছিল ব্যবসায়ীরা। এখন তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। খবর বিডিনিউজের।
কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও সহযোগিতা করতে হবে। কারণ, দলগুলো যদি আগের সেই প্রাকটিসে ঢুকে যায়,তাহলে এতগুলো মানুষের জীবন দেওয়ার কোনো দরকার ছিল না।
বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখার কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এখন দলগুলোর মধ্যে একটা পজিটিভ বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দলগুলো কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আশা করি তৃণমূলেও এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে। তাহলে স্থানীয় চাঁদাবাজি কমে আসবে।
দুর্গাপূজার কারণে বাজার ব্যবস্থায় নজর দেওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি পর্যায়েও এ বিষয়ে আমরা কঠোর হব। দুর্গাপূজা নিয়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ড্রাস্টিক অ্যাকশনে যাব। বাজার ব্যবস্থা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ে নিজের উপলব্ধি তুলে ধরেন নবীণ এই উপদেষ্টা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় ইনভলব। বন্যার কারণে শাকসবজির সরবরাহ কমেছে। পর পর দুটো বন্যা হয়ে গেছে। সেই বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদেরকে হার্ডলাইনে যেতে হবে। যেসব করপোরেট প্রতিষ্ঠান সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দাম বাড়াবে তাদেরকে অ্যারেস্ট করব।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবি ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “টিসিবিকে অ্যাকটিভ করতে হবে। আগে যারা টিসিবির ডিলার ছিল তারা ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী। তারা এখন পালিয়েছে।”