পটিয়ায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় চলছে সরকারি মডেল মসজিদ নির্মাণ। পটিয়ার বাস স্টেশণ সংলগ্ন মহকুমা মসজিদের স্থালে নব করে মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকার অনুমোদন দেয়। কিন্তু ঠিকাদার সরকারি জমিতে মসজিদ নির্মাণ করে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমিতে জোর করে মসজিদ নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, পটিয়া পৌরসদরের আল্লাই ওখাড়া এলাকায় অবস্থিত ১৫০ বছরের প্রাচীন হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরী জামে মসজিদের জায়গা, পুকুর, ওজু খানা ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসা জোর পূর্বক দখল করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মসজিদের মোতোওয়াল্লী সুলতান আহমদ চৌধুরী। গত শনিবার একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মসজিদের মোতোওয়াল্লীর ছোট ভাই আবু তাহের চৌধুরী, আকতার হোসেন, রিভিউ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পটিয়ার সভাপতি এম. নাসির উদ্দীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ কবির আরমান, হাজী আনোয়ার আলী স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাইফুর রহমান ও সাবেক সেক্রেটারী মোহাম্মদ সেলিম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোতোওয়াল্লী জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬২টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করছে। এপর্যায়ে পটিয়া মহকুমা মসজিদকে মডেল মসজিদে রূপান্তরের জন্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনকে উপেক্ষা করে মহকুমা মসজিদ বাদ দিয়ে উপজেলা প্রশাসন হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরী জামে মসজিদকে মডেল মসজিদ করার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে মসজিদের পুকুর ভরাট, ওজু খানা, ফোরকানিয়া মাদ্রাসাসহ প্রায় ২ একর ১৯ শতক জায়গা দখলে নেয়। মসজিদের মোতোওয়াল্লীসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে না জানিয়ে এ মসজিদ তৈরির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করলে মোতোওয়াল্লী এর প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবরে অভিযোগ করেন। সংসদ সদস্য উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউ,এন,ও কে নির্দেশ দিলেও ইউএনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পরিবেশের ছাড়পত্র না নিয়ে পুকুর ভরাটের ফলে শত শত পরিবার যারা গোসল, রান্না-বান্নার কাজে পানি ব্যবহার করেন তারাও ভোগান্তিতে পড়েছে। এতে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
মোতোওয়াল্লী জানান এলাকায় একটি মাত্র বিশাল পুকুর ভরাট করার ফলে ওখাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে অগ্নি নির্বাপণের জন্য পানিও পাওয়া যাবে না। এছাড়াও মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আনোয়ার আলী চৌধুরীর নামও মুছে ফেলা হচ্ছে। উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মোতোওয়াল্লী সুলতান আহমদ চৌধুরী ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।