পটিয়া প্রতিনিধি
বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার পর কিরগিজস্তান প্রেরণ ও পরে সেখানে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পটিয়া ও বাঁশখালীর ৩ যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের অভিযোগ, লোভনীয় চাকরির কথা বলে কিরগিজস্তানে পৌঁছানোর পর সেখানে তাদের ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়। পরে গ্রামের বাড়ি থেকে আরও ৯০ হাজার টাকা পাঠানোর পর ৪৫ দিনের মাথায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। কিরগিজস্তানে নির্যাতনের শিকার ৩ জন হলেন পটিয়ার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়া ৫ নং ওযার্ডের মো. আনিসুর রহমান (২৩), আকতার হোসেন (৪৮) ও বাঁশখালীর মো. নূর হোসেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, পটিয়ার পশ্চিম কোলাগাঁও ছাপড়া গ্রামের আমির আলী সারেং এর ছেলে মোহাম্মদ মনছুর আলম বিদেশে ভালোমানের চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। এরপর নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকার ওয়েল ওভারসিস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনপ্রতি ভিসা ও আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ৩ জন থেকে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। চলতি বছরের ২২ এপ্রিল তারা কিরগিস্তানে পৌঁছেন। এরপর দেশটিতে প্রবেশের সাথে সাথে দালাল আব্দুস সামাদ ও মনছুর আলমের ঘনিষ্ঠজন মাহির তাদের জিম্মায় নেন।
নির্যাতনের শিকার আনিসুর রহমান, আকতার হোসেন, নূর হোসেন জানান, আমরা যেদিন সে দেশে পৌঁছি, সেদিন আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮শ ডলার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে ক্যাম্বেগিয়া নামক স্থানে আটকে রাখে। সেখানে বিভিন্ন দেশের আরও দুই শতাধিক লোক আটক ছিলেন।
আনিসুর রহমান বলেন, আমাকে ৬০০ ডলার বেতনে ওয়েল্ডার হিসেবে চাকারি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিরগিজস্তানে পৌঁছার পর কয়েকদিন আটকে রাখে পরে দুর্গম এলাকায় বড় বড় আকারের পাথর ও ইট বহন করতে বলে।
আকতার হোসেন বলেন, আমাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা আদম বেপারি মোহাম্মদ মনছুর আলমকে ফোনে জানাই। এরপর বাংলাদেশে ফিরে আসার জন্য আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
আনিসুর রহমানের পিতা লেয়াকত আলী বলেন, ছেলের বন্দিদশার কথা শুনে আমরা অস্থির হয়ে উঠি। এরপর আমরা সেই মনছুরের সাথে যোগাযোগ করি। পরে মনছুর আমাদের কাছ থেকে আরও ৯০ হাজার টাকা নিয়ে তা বিদেশে দালালদের কাছে প্রেরণ করেন। এরপর তারা এ ৩ জনকে দেশে ফিরতে মুক্তি দেয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মনছুর আলম বলেন, বিদেশে যাওয়ার জন্য আমি মিডিয়া হয়ে কাজ করেছি, এটা সত্য। তবে তাদের ভুলের কারণে বিদেশ থেকে ফিরে এসেছে।