পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও হামলার মামলায় পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আইয়ুব বাবুলকে (৬০) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। এসময় জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আওয়ামী লীগ নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মো. আইয়ুব বাবুল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের মহল্লা বাড়ির মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতাকর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌরসদর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্রদের ওপর গুলি ও হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র নেতাকর্মীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও তাদের হামলায় আহত হন।
এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট হামলায় আহত পটিয়া মাদ্রাসার ছাত্র মো. নুরুল হাসান বাদী হয়ে একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন পটিয়া থানায়। সে মামলায় পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়। সে মামলায় পটিয়ার সাবেক পৌরমেয়র আইয়ুব বাবুল এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও বিএনপি অফিসে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট, বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টাসহ আরও তিনটি মামলার তিনি এজাহারনামীয় আসামি আইয়ুব বাবুল।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পটিয়ার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব বাবুল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি ও হামলার এজহারভুক্ত আসামি। এছাড়াও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটসহ একাধিক মামলার আসামি।
গতকাল মঙ্গলবার তিনি উচ্চ আদালতের জামিনের সময়সীমা শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চাইলে আদালত তার জামিন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
