পটিয়ায় সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

3

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় সরকারি খাস জায়গা দখল করে দুই সহোদর পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর দেয়াঙ কোটরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাসের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগে সবাই গণস্বাক্ষর করেন।
অভিযুক্ত দুই সহোদর পুলিশের কনস্টেবল নেছার উদ্দিন ও বর্তমান চকরিয়া থানার ওসি মো. আরিফ উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কোটরপাড়া এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার বৃষ্টির পানি, ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারিভাবে সিট মৌজায় অনেক আগে থেকেই একটি ড্রেন আছে। ইতোমধ্যে কনস্টেবল নেছার উদ্দিন ও তার ছোট ভাই ওসি মো. আরিফ প্রভাব খাটিয়ে পুরাতন ড্রেনটি সম্পূর্ণ ভরাট করে অন্য একজনের জায়গার উপর ড্রেন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। কিছুদিন যাওয়ার পর যার জায়গায় ড্রেন দিয়েছে তিনি উক্ত জায়গাটি ভরাট করে ফেলেন। ফলে বৃষ্টির পানি ও ব্যবহৃত পানি একাকার হয়ে উক্ত এলাকাটি পানিতে ভেসে যায় এবং এলাকাবাসীকে চলাচলে খুবই কষ্ট পেতে হয়। এ ব্যাপারে সাজ্জাদ হোসেন রুবেল নামের এক ব্যক্তি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি করার পর থানা থেকে তদন্ত করার জন্য পুলিশ আসে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। পুলিশ তখন তাদের সাথে কথা বলে আশ্বাস দেয়, যে কোন উপায়ে তারা পুরাতন ড্রেনটি চালু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
কিন্তু এর কিছুদিন যেতে না যেতে উক্ত ভরাটকৃত ড্রেন, সরকারি চলাচল জায়গাসহ তাদের জায়গার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলে উক্ত জায়গায় পাকাঘর নির্মাণ শুরু করেন পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ কনস্টেবল নেছার উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এলাকায় আমাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি খালে ভেঙে চলে গেছে। খালের পাড়ে বাকী জায়গায় আমার মা-বাবা ও বোনেরা থাকেন। আমরাতো পরিবার নিয়ে বাইরে থাকি।’ সরকারি খাস জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন বলে সংযোগটি কেটে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত এলাকার ভুক্তভোগী নারী পুরুষেরা অফিসে এসে আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’