পটিয়ায় লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার স্বামী-স্ত্রী

1

পটিয়া প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়ার দক্ষিণ ভূর্ষি এলাকায় উজ্জ্বল দে (৫৫) নামের এক ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১ জুন নিহতের স্ত্রী লক্ষি দে বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। নিহত উজ্জ্বল দে উপজেলার দক্ষিণ ভ‚র্ষি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণ মহাজনের বাড়ীর মৃত গোপাল দে’র ছেলে।
হত্যা মামলায় ৩ জনকে এজাহারভুক্ত এবং অজ্ঞাত আরো ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। রবিবার এ মামলায় নিহত উজ্জ্বল দে’র প্রতিবেশি বাসু দেব মহাজন (৫৫) ও তার স্ত্রী মনি মহাজন সঞ্চিতাকে (৪৫) এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে তাদের ছেলে সান্তুু মহাজনকে। বাসু দেব মহাজন ঐ এলাকার মৃত কৃষ্ণ মহাজনের ছেলে।
গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে মামলার ৩নং আসামি বাসু দেব মহাজনের দক্ষিণ ভ‚র্ষি ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভ‚র্ষি বাড়ির পিছনে পুকুর পাড়ের টয়লেটের পাশে তালগাছের নিচে ঝোপ থেকে উজ্জ্বল দে’র লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে লাশের গায়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ধারণা করেছিল তাকে খুন করা হতে পারে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার প্রতিবেশি বাসু দেব মহাজন ও তার স্ত্রী লক্ষি দে সঞ্চিতে আটক করেছে থানায় নিয়ে আসে পটিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত উজ্জ্বল দে’র সাথে প্রতিবেশি বাসু দেব মহাজনের স্ত্রী লক্ষি দে সঞ্চিতার সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার সাথে আর্থিক লেনদেনও ছিল। এর জেরে সঞ্চিতার ছেলে সান্তুু মহাজন উজ্জ্বলের উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি সান্তুু মহাজন পলাতক রয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান বলেন, উজ্জ্বল দে নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নিহতের প্রতিবেশি বাসু দেব দে মহাজন ও তার স্ত্রী মনি মহাজন সঞ্চিতাকে গতকাল জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তারা স্বামী- স্ত্রীকে এ হত্যা মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনার তাদের ছেলে প্রধান আসামি সান্তুু মহাজন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।