পটিয়া প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের পটিয়ায় বসতভিটা ও চলাচলের পথের জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নুরুল হক (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মাঝের ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নুরুল হক ঐ এলাকার দলিলুর রহমান ফকির বাড়ির মৃত নুরুল আফসারের ছেলে। এ ঘটনায় অন্তত ৬-৮ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। নিহত নুরুল হকের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সিরাজুল হকের সাথে এ বিরোধ চলে আসছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার জায়গা নিয়ে নুরুল হক ও সিরাজুল হকে মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এর আগেও একাধিকবার উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বাকবিতন্ডা হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার আবারো এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে বৃদ্ধ নুরুল হক গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িত সেলিমুল হক (৪৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি ঐ এলাকার প্রতিপক্ষ সিরাজুল হকের ছেলে
পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদিয়া মারজান বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এক বৃদ্ধকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে কিছু লোকজন। তিনি মৃত ছিলেন। ধারনা করা হচ্ছে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষে কামাল উদ্দিন (৩৪) ও জামাল উদ্দিন (৩৮), জুলেখা বেগম (৮০) এ তিনজন আহত হয়েছে। তারা সবাই নিহতের পরিবারের সদস্য।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে প্রতিবেশী সিরাজুল হকের দুই ছেলের নাম জানা গেছে। তারা হলেন সেলিমুল হক (৪৫), শহিদুল হক বাসেক (৪৪)। এছাড়াও বজলুল হকের ছেলে কাউছারুল হক বাপ্পা (৩৬) এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, নিহতের লাশ পটিয়া হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।