পটিয়ায় চলাচলের পথ বন্ধের অভিযোগ, দুর্ভোগ দুই পরিবারের

1

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় দুটি পরিবারের একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ফারুকী পাড়া গ্রামে প্রায় দেড়মাস ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে পরিবার দুটির। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সমাধান মেলেনি বলে পরিবারটির অভিয়োগ। তাই মঙ্গলবার পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আবু বক্কর নামের একজন।
এ প্রতিবন্ধকতায় পরিবার দুটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ছেলেমেয়েরা, বয়োজ্যেষ্ঠরাও চলাফেরায় বিপাকে পড়েছেন। পাশের একটি কৃষি জমি দিয়ে কোনোমতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা। কিন্তু সেখানেও বাঁধা দিচ্ছে জমির মালিকেরা এমনটি অভিযোগ ভুক্তভোগী আবু বক্করের। দ্রæত অপসারণ করে চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য আবু বক্কর উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা শত বছর আগে এখানে বসবাস শুরু করে। সেই থেকে পথটি চলাচলের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। বিবাদীগণ সুনীল দে, গুরায় দে, রতন দে, সুবীর দে আমার একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিবাদীগণ আমার স্থায়ী বসতভিটা থেকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং মাটি কেটে রাস্তাটি ব্যবহারের অযোগ্য করে দেয়। স্থানীয় প্রবাসী হাসান এবং আওয়ামী লীগপন্থিদের সাথে মিলিত হয়ে আমাদের ২ পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে। এ অবস্থায় আমাদের ২টি পরিবারের একমাত্র চলাচল পথ হওয়ায় বিবাদিগণকে উক্ত রাস্তাটি ক্রয় করবে মর্মে সিদ্ধান্ত নিলেও বিবাদিগণ আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সমস্য সৃষ্টির জন্য আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বিক্রি করতে আপত্তি জানান। এমতাবস্থায় আমাদের ২টি পরিবারসহ যাবতীয় যানবাহন চলাচল করতে অক্ষম। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের জরুরি চিকিৎসা সেবা সহ যাবতীয় মৌলিক অধিকারের সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যা খুবই কষ্টসাধ্য। এতে আমরা ২ পরিবার খুব ভীত এবং আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রতিবেশি সুনীল দে’র মোবাইল ফোনে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান বলেন, দুটি পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।