পটিয়ায় গৃহবধূ খুনের মামলায় মা-ছেলে গ্রেপ্তার

1

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ শিউলী হত্যা মামলায় সাড়ে পাঁচমাস পর পলাতক প্রধান আসামি আলভীসহ দুইজনকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. আলভীকে (২১) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকায় গত রবিবার রাত দশটার দিকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম এবং র‌্যাব-১ ঢাকা। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যমতে অপর একটি আভিযানিক দল ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন আইডিয়াল মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মামলার ২নং আসামি আলভীর মা মনোয়ারা বেগম (৩৮) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি পটিয়া উপজেলার জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিরাজ গাজী বাড়ির বাসিন্দা।
এর আগে এ মামলার ৪নং আসামি আলভীর বাবা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক প্রকাশ মুন্সি মিয়াকে (৫২) কে গত ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব-৭।
গতকাল সোমবার র‌্যাব-৭ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিকেলে নিহত গৃহবধূ শিউলীর দুই সন্তান তার বাসার ছাদে খেলাধুলা করছিল। এসময় প্রতিবেশী তাহাসিন তার সন্তানদের কাছে থাকা ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যাট নীচে ফেলার জন্য বললে শিউলীর সন্তানরা খেলার ব্যাট দিতে অপারগতা জানায়। তখন প্রতিবেশী তাহাসিন তাদের বাড়ির অন্য একটি বাসার ছাদে উঠে শিউলীর সন্তানদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এসময় শিউলীর ছোট ছেলে ছামিম মাথায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিউলী এবং প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগমের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে শিউলী তার রক্তাক্ত ছেলেকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় আমজুর বাজারে নিয়ে যান এবং চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিচারের জন্য মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে গেলে সেখানে আলভী এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা গৃহবধূ শিউলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশি অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে এবং বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এসময় শিউলীর চিৎকারে তার পরিবার এবং স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিউলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন ১৫ ডিসেম্বর নিহতের স্বামী মোহাম্মদ মুছা বাদী হয়ে পটিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।