পটিয়া প্রতিনিধি
পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ২ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যুবলীগ নেতা শাহ পারভেজ রোমান (৩৭) ও আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনকে (৪৪) পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহ পারভেজ রোমান উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের করল কাচারিভিটার আবুল খায়ের মাঝির বাড়ির মৃত আবু তালেবের ছেলে। সে পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সক্রিয়কর্মী ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম রনির অনুসারী। আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিন উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মেহেরআটি এলাকায় মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে।
গত বুধবার রাতে মহানগরীর চকবাজার এলাকা থেকে চকবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় পটিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম যুবলীগ নেতা রোমানকে এবং আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাহাব উদ্দিন কুসুমপুরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা শাহ পারভেজ রোমান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার একদিন আগে ৪ আগস্ট পটিয়ায় ছাত্রজনতার মিছিল ও আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলার এজহারভুক্ত আসামি রোমান। সিসিটিভি ফুটেজ ও গণমাধ্যমে তার ছবি দেখে শনাক্ত করে পুলিশ। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা রয়েছে।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যুবলীগ নেতা শাহ পারভেজ রোমান নিজেই ৪ আগস্ট ছাত্রজনতার মিছিল ও আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের ওপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবিটি প্রকাশ হয়েছে। সে ২টি হত্যাচেষ্টা মামলার এজহারভুক্ত আসামি। আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
