পূর্বদেশ ডেস্ক
হিমালয় কন্যা হিসেবে পরিচিত পঞ্চগড় জেলায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার পরিমাণ কম ও আকাশ পরিষ্কার থাকায় দিনে ঝলমলে রোদ থাকলেও রাত হলেই তাপমাত্রা কমতে থাকে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন জানান, জেলায় দিনের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রির ঘরে থাকলেও শুক্রবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের এবং সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। তবে রোদের কারণে দিন ও রাতের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি আর মঙ্গলবার ছিল ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর বিডিনিউজের
এদিকে সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা থাকলেও ভোরেই আকাশে উঁকি দিয়েছে সূর্য। কিছুক্ষণ পর ঝলমলে রোদ দেখা দিলেও সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করতে দেখা যায় শুভ্র শিশির। সেই শিশির মাড়িয়ে কাজে যেতে দেখা যায় কৃষক ও শ্রমিকদের। নরম রোদের উষ্ণতায় মাঠে মাঠে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন শীতের শাক সবজি পরিচর্যাসহ নানা কাজে।
স্থানীয়রা জানান, জেলায় সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভ‚ত হচ্ছে। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত গায়ে ভারি কাঁথা নিতে হচ্ছে। তবে তিন দিন ধরে কুয়াশার পরিমাণ কম। তাই সকাল ঝলমলে রোদ থাকায় কর্মজীবীরা স্বস্তিতে কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
স্থানীয় কৃষি শ্রমিক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে কুয়াশা কম দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে সকালে রোদ উঠায় দিনে বেশি শীতের তীব্রতা মনে হয় না। কিন্তু সন্ধ্যা হলেই শীতে থাকা যায় না। গরম কাপড়-চোপড় পড়ে থাকতে হয়’।
আনারুল নামে একজন হোটেল শ্রমিক বলেন, ‘সকাল ৬ টায় হোটেলে কাজ শুরু হয়। সকাল যখন রাস্তা দিয়ে আসি তখন একটু ঠান্ডা লাগে। কিছুক্ষণ পরে রোদ উঠলে তখন আর বেশি ঠান্ডা লাগে না। বেশি ঠান্ডা হলে আমাদের হোটেল শ্রমিকদের অনেক কষ্ট হয়। কারণ সারাদিন পানি ব্যবহার করতে হয়’।