চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ভোটের শেষ হাসি আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর। ৭৩৩ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা শেষে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন রয়েছেন বিশাল ব্যবধানে পিছিয়ে। তিনি পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। দুটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল স্থগিত রয়েছে। নির্বাচনে মোট বৈধ ভোট চার লাখ ৩৫ হাজার ৪৯০। বাতিল ভোটের সংখ্যা এক হাজার ৫৩টি।
অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর চার হাজার ৬৫৩ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম.এ মতিন দুই হাজার ১২৬ ভোট, স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী ৮৮৫ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এক হাজার ১০৯ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম চার হাজার ৯৮০ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে ভোট গ্রহণ শেষে ইভিএম মেশিনগুলো জিমনেশিয়ামে আনার পর ভোট গণণা শুরু হয়। একটানা চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, যাচাই বাছাই করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল দিতে কিছুটা দেরি হয়েছে। ইভিএমের কারণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্র সংখ্যা ও ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলাফল দিতে একটি দেরি হয়েছে। তনে নির্ভুলভাবেই ৭৩৩ কেন্দ্রের ফলাফল দেয়া হয়েছে। এতে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আর ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টিতে জড়াজড়ি করে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সাধারণ কাউন্সিলর পদে বিএনপির ঝুলি খালি রয়েছে। সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির খাতা এ ক্ষেত্রেও শূন্য রয়েছে নির্বাচনের ফলাফলে।
মোট ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭৭০ জন ভোটার রয়েছে।
কাউন্সিলরদের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ডে গাজী মো. শফিউল আজিম, ২ নং ওয়ার্ডে সাহেদ ইকবাল বাবু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শফিকুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী এসরালুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ কাজী নুরুল আমিন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এম. আশরাফুল আলম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোবারক আলী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মোরশেদ আলম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জহুরুল আলম জসীম, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইসমাইল, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুল আমিন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ওয়াসিম আহমদ চৌধুরী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হাসনাত মো. বেলাল, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শহিদুল আলম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ (বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায়), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুল আলম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শৈবাল দাশ সুমন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সলিম উল্লাহ, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ জাবেদ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমুল হক ডিউক, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুস সবুর লিটন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম বাহাদুর, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আতাউল্লাহ চৌধুরী, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে জহরলাল হাজারী, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুলক খাস্তগীর, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী নুরুল হক, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোরশেদ আলী, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মান্নান, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মো. চৌধুরী, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়াউল হক সুমন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল বারেক, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ছালেহ আহমদ চৌধুরী । সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে ফেরদৌস বেগম মুনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে জোবাইরা নার্গিস খান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেসমিন পারভীন জেসি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তছলিমা বেগম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আঞ্জুমান আরা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শাহীন আক্তার চৌধুরী, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রুমকি সেনগুপ্ত, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নীলু নাগ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জাহেদা বেগম পপি, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে হুরে আরা বেগম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌসি আকবর, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আফরোজা জহুর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, ১৪ নং ওয়ার্ডে শাহানুর বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, নৌকার প্রার্থীর বিজয় হয়েছে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন তার প্রতিদান দিয়েছেন চট্টগ্রামের ভোটাররা। স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার সুফল পেয়েছে চট্টগ্রামবাসী। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই রায় দিয়েছেন জনগণ।