মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা কখনো বিএনপি নেতৃত্বাধীন জামায়াত জোটকে সমর্থন দিতে পারে না। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করলেও তার দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে কখনো ধারণ করে না। তারা পাকিস্তান থেকে গোলাম আজমকে এনে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিকদের এ কথা মনে রাখতে হবে। সাংবাদিকরা দেশের অন্যতম অগ্রসর অংশ, তারা জাতির দর্পণ। জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দলের প্রার্থীদের প্রতি তাদের সমর্থন বিজয়ী হতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে।
গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে লালিত চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলের প্রার্থীদের প্রতি সমর্থন দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের তিন আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের সাথে নিয়ে এ সভা আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকরা মত প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামের অধিকাংশ সাংবাদিক প্রগতিশীল এবং মুক্তিযুদ্ধের চিন্তা ও চেতনায় বিশ্বাসী। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ধরে রাখা এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পেছনে ফেলে সুখী বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলের আবারও ক্ষমতায় আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন চট্টগ্রামের বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজ। সমৃদ্ধশালী ও উন্নত বাংলাদেশের জন্য বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার। সাম্প্রদায়িক ও অন্ধকারের শক্তি ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়নযাত্রা থেমে যাবে।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী ডা. মো. আফসারুল আমীন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে। তার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ভ‚মিকা রাখতে হবে। এমনিতেই সরাসরি সমর্থন না দিলেও অতীতে গণমাধ্যমকর্মীরা নিজেদের সমর্থন আওয়ামী লীগকে দিয়েছে একটি প্রগতিশীল দল হিসেবে। এবারেও আরও জোরালো ভ‚মিকা থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
কোতয়ালী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। এতে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের এ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘমেয়াদের দেশের সংবাদমাধ্যমকে শিল্পে পরিণত করেছেন। রাজনৈতিক সৎ সাহস আছে বলেই গণমাধ্যমকে উন্মুক্ত করেছেন।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের প্রার্থী এম এ লতিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি থেকে বিচ্যুত করে জাতিকে পেছনের দিকে নিয়ে যাবার ষড়যন্ত্রে মেতে আছে অন্ধকারের শক্তি। আর্থসামাজিক বিবেচনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার লড়াই করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ধারাবাহিকতার জন্য এ সরকারকে আবারও দরকার। অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তিনি নৌকায় ভোট চান।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও আলী আব্বাস, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, জনকণ্ঠের ডেপুটি এডিটর মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক পংকজ কুমার দস্তিদার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এজাজ ইউসুফী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসিম চৌধুরী সবুজ, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বপন দত্ত, একুশে টেলিভিশনের আবাসিক প্রতিনিধি রফিকুল বাহার প্রমুখ।