বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, নৌকার পক্ষে ৭০ সাল থেকে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এতে আমাদের সকলের জন্যই একটি নির্ভরশীল জয়যাত্রা সূচিত হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, কোন অপশক্তি যেন দল ও সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।
তিনি গতকাল সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেটে সংগঠন কার্যালয়ে যৌথ সভায় এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়নি। গ্রিক পুরাণের ফিনিক্স পাখির মতো ছাইভস্ম থেকে আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ কখনো পিছু হটতে জানে না। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন- এটাই বীর বাঙালির মহত্তম অর্জন।
তিনি আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, পেট্রল বোমায় মানুষ পুড়িয়েছে, ১০ ট্রাক অবৈধ অস্ত্র এনেছে, কীটনাশক ওষুধ আনতে গিয়ে ১৭ জন কৃষককে গুলি করে খুন করেছে, বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এবং হাওয়া ভবনের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ইঙ্গিতে যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি মানায় না।
হানিফ বলেন, দলের ভেতরে কোন বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। যারা এসব করছেন তারা সাবধান হয়ে যান, ভবিষ্যতে দলে আপনাদের স্থান হবে না।
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিকানা। ১৯৯৪ সালে প্রয়াত জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র পদে বিজয়ী হয়ে চট্টগ্রামের স্বপ্নপূরণে যে উদ্যোগগুলো গ্রহণ করেছিলেন, তা একে একে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন।
কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে ভূমিকা রাখছেন, তার সাথে সকলকেই একাত্ম হতে হবে। তা নেতাকর্মীদের একাগ্রতার সাথে পালন করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের সকলের লক্ষ্য একটাই- আগামী ২৭ জানুয়ারী চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা। এজন্য আমাদের কাছে প্রতিটি মুহুর্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক মুহুর্তও অপচয় করা যাবে না।
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মেয়র নির্বাচন একটি চ্যালেঞ্জ, আমি বিশ্বাস করি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগর আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।
সমাপনী বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দলের সাংগঠনিক নির্দেশনা এবং বিধি-বিধান প্রত্যেককে মেনে চলতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কেউ ছাড় পাবে না।
সভার শুরুতে নগর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিমের মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ ছালাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি