‘নির্বাচন ১৬ না ১৮ মাস পরে হবে তা নির্ধারণ করবে জনগণ’

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশিত সময়সীমা নিয়ে যা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত মতামত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তার এ মন্তব্য আসে। খবর বিডিনিউজের।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব নেয়।
নতুন সরকারের কাছে রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি রয়েছে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া পক্ষগুলোর। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দ্রæত সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহŸান জানান হচ্ছে।
স¤প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি জনগণকে ধৈর্য ধরার কথা বলেন। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য তার প্রত্যাশিত সময়সীমা তুলে ধরে তিনি বলেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের ‘গণতন্ত্রে উত্তরণ’ ঘটা উচিত।
এ প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রেস সচিব বলেন, ওই রিপোর্টে কোট আনকোটের মধ্যে এই ধরনের কোথা নেই। প্যারাফ্রেজ করে যেটা দিয়েছে, সেখানে ষষ্ঠ প্যারায় ওরা বলেছেন, ফলোয়িং দ্য রিফর্মস, তারপর ১৮ মাস। সেই জায়গায় আমরা বলতে চাই, এটা (নির্বাচন) ১৬ মাস, না ১৮ মাস, নাকি ১২ মাস নাকি ৬ মাস (পর হবে) সেটা ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ।
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে তার দনিজস্ব মতামত হিসেবে বর্ণনা করে প্রেস সচিব বলেন, এটা রাষ্ট্র মেরামতের একটা কাজ। কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে রাজনৈতিক কনশালটেশন এবং এরপর বাংলাদেশের জনগণ, সমাজ, অন্যসব স্টেকহোল্ডার যখন সেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাবে, তখন ইলেকশনের দিকে যাওয়া হবে। এটা কবে হবে? ১৬ মাস পর নাকি ১২ কিংবা ৮ মাস পরে সেটা এখনই নির্ধারিত করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয় যে, সেনাপ্রধান এখানে ওপিনিয়ন দিয়েছিলেন।