নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে

1

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দেশে যেমন নির্বাচনের চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান একই সাথে সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। দেশের মানুষ একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষা করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। যারা দেশের নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক তা চায় না। তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরের দোস্ত বিল্ডিংস্থ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাবলেন। জেলা কমিটির আহব্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় ব্যারিস্টার হেলাল আরও বলেন, নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হলে কিংবা দেশে শীঘ্রই জাতীয় নির্বাচন না হলে দানবীয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। এমনকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দীর্ঘায়িত হতে পারে। ছাত্র যুবক, কৃষক শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছে। যে দেশের জনগণ দানবীয় হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে দেড়যুগ ধরে হামলা-মামলা, গুম-খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুমসহ অত্যাচার-অনাচার মোকাবেলা করে সংগ্রাম করেছে, অকাতরে জীবন দিয়েছে; সেদেশের মানুষেরা একটি অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার ছলচাতুরি মেনে নিবে না।
বিএনপিকে মাটি ও মানুষের সংগঠন উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার মিথ্যাচার ও চক্রান্ত করে লাভ নেই। অতীতে বিএনপি অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সংগ্রামের ইতিহাস দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীর জানা আছে। নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এবারও বিএনপি নেতা-কর্মীরা পিছপা হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কমিটির আহব্বায়ক ইদ্রিস মিয়া আগামি ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশে দক্ষিণ জেলার আওতাধীন প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সাধরণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ব্যানার-ফেস্টুন সহকারে মিছিল নিয়ে উপস্থিত থাকার আহŸান জানান। জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীন দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘরকে বিএনপির এক-একটি দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহব্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, জেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক জামাল হোসেন, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক ইসহাক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক মাস্টার লোকমান, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, হাজী আবুল কালাম আবু, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র আহব্বায়ক শহিদুল্লাহ চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র আহব্বায়ক কামাল উদ্দিন, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি’র আহব্বায়ক মাহাদুর রহমান মাদু, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এসএম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, নুরুল কবির, অধ্যাপক এহছানুল মৌলা, মো. জসিম উদ্দিন, শওকত আলম চৌধুরী, রফিকুল আলম, নওয়াব মিয়া, জসিম উদ্দিন আবদুল্লাহ, আবদুল জলিল চৌধুরী, আবদুল মোনাফ, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব হাজী ওসমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব ইউসুফ চৌধুরী, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুর রহিম, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপি’র সদস্য সচিব বাবু খান, অ্যাড. শওকত ওসমান। বিজ্ঞপ্তি