নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে আবারও রাজপথ প্রকম্পিত হবে : মীর হেলাল

1

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ছিল দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, পুলিশ-প্রশাসনের রদবদল, বিচার বিভাগ পুনরুদ্ধারসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় দ্রুত সংস্কার করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া। যা ইতোমধ্যে মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে। এখন এ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে গণমানুষের মনের কথা শুনা। শেখ হাসিনার কানে গণমানুষের কথা পৌঁছায়নি বলেই তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। যারা গণমানুষের মনের কথা শুনবেনা তাদের পরিণতি হবে হাসিনার মতোই।
গত সোমবার বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে এতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অংশ নেন সকল অঙ্গ-সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা।
নববর্ষকে বরণ করতে পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুলস্থ বাইপাস গোল চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শোভাযাত্রাটি পটিয়াস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, বাংলার আবহমান ঐতিহ্য সম্বলিত রং-বেরংয়ের ব্যানার- ফেস্টুন নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির দক্ষিণ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশ নেন।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, দীর্ঘবছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে লড়াই করেছে বিএনপি। দ্রুত নির্বাচন আদায়ে প্রয়োজনে রাজপথে আবারো আন্দোলন হবে। শান্তিপূর্ণ বিশাল শোভাযাত্রা বিক্ষোভে রূপ নিতে একটি ঘোষণাই যতেষ্ট জানিয়ে তিনি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত না করে অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ইদ্রিস মিয়া বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দীর্ঘবছর এদেশের মানুষকে নিজের মতো করে সংস্কৃতি-ঐতিহ্য পালন ও চর্চা করতে দেয়নি। তারা সর্বক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। সবকিছু আওয়ামী লীগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছে।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ আন্দোলনের চ‚ড়ান্ত রূপরেখায় ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে বাংলার মানুষ আজ মুক্তির আনন্দে মেতেছে। বৈশাখি উৎসব উদ্যাপনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে ঐক্যের সুর উঠেছে তা ধরে রাখতে হবে। যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। দেশের মানুষ যেদিন তাদের মালিকানা ও ভোটের অধিকার ফিরে পাবে এবং যেদিন বৈষম্যহীন রাষ্ট্রকাঠামো গঠিত হয়ে জনগণের সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে সেদিনই যুদ্ধ শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহব্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন, জেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, আজিজুল হক চেয়ারম্যান, এসএম মামুন মিয়া, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, মাস্টার লোকমান, আমিনুর রহমান চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, ইসহাক চৌধুরী, হাজি ওসমান, সাইফুদ্দীন সালাম মিঠু, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, রাসেল ইকবাল মিয়া, শওকত আলম চৌধুরী, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, নুরুল কবির, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এসএম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, হাজি রফিকুল আলম, মোকতার আহমদ, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, খোরশেদ আলম আইয়ুব, আ ক ম মোজাম্মেল হক, মাহমুদুর রহমান মাদু, বাবু খান, ইব্রাহীম খলিল চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান, আবদুল মোনাফ চৌধুরী, আবদুল জলিল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন মাস্টার, অ্যাড. শওকত ওসমান, মনজুর আলম তালুকদার, মো. আজগর, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জমির উদ্দিন মানিক, রবিউল ইসলাম রবি, ডা. মহসিন খান তরুণ, কামরুদ্দিন সবুজ, আবদুর রহিম, মোজাম্মেল হক, সালেহ জহুর, বিএনপি নেতা মাস্টার রফিক, সরোয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, শাহিনুর রহমান শাহীন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, শফিকুল ইসলাম রাহী, জাহাঙ্গীর আলম, মোজাম্মেল হক বেলাল, জাগির হোসেন, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, এসএম সুমন, মোস্তফিজুর রহমান, বাহাউদ্দিন, মো. শাহীন, মো. জাহেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, সাইফুল ইসলাম, মো. ইসমাইল, ইঞ্জিনিয়ার হারুন, দিল মোহাম্মদ মনজু, আবু আহমদ, আফছার উদ্দিন সোহেল, মতিউর রহমান রাশেল, গাজী ফোরকান, গাজী মনির, আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মনসুর উদ্দিন, মামুন খান, ছলিম উল্লাহ চৌধুরী ডালিম, আফরোজা বেগম জলি, সারাবান তহুরা কলি, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির ও তারেক রহমান। বিজ্ঞপ্তি